More Case History………..

সিষ্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস (এস, এল, ই)

রোগীর নাম : আনোয়ারা বেগম, বয়স : ৬০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।

রোগের বিবরণ : স্থান : পিয়ারলেস হাসপাতাল, কলকাতা। তাং ১০/১১/২০০৩- এ এন এফ-২৭৩.৪ (পজিটিভ), এন্টি ডি এন এ এন্টিবডি -২১৬.২ (পজিটিভ), চিকিতসক অসীমকুমার পাল ওষুধ -প্রেডনিসোলন-৫মি.গ্রা, চিকিতসার মেয়াদ ২০০৩ _ ২০০৮ সাল (পাঁচ বছর) রক্তের রিপোর্ট তারিখ ২৫/০২/২০০৮ এ এন এফ – ২৯৮.৪, এন্টি ডি এন এ এন্টিবডি -২৮৭.২ ফলাফল পাঁচ বছরের চিকিতসার পরও এস এল ই রোগের তীব্রতা বেড়েগিয়েছে। প্রস্রাবে এ্যালবুমিন- +++।
হিস্টেরেকটোমি বা জরায়ুর অপসারনের পর থেকে রোগীনি লিভিয়াল নামক স্ত্রী হরমন জাতীয় ওষুধ সেবন করছিলেন। সম্ভবতঃ এর ফলেই রোগীনির এস,এল, ই রোগটির জন্ম হয়। এটি একটি অটোইমিউন জাতীয় রোগ যাতে দেহে দেহকোষের নিউক্লিয়াস ধবংসকারী এ্যান্টিবডির জন্ম হয়, যা রোগীনিকে মৃতু্যর দিকে নিয়ে যায়। এর একমাত্র চিকিতসা হচ্ছে দেহের শ্বেতকণিকার শক্তিকে অক্ষম করার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ (প্রেডনিসোলন) প্রয়োগ করা । কিন্তু এই ওষুধ প্রয়োগ করলে কিডনির ক্ষতি হয় এবং উচ্চরক্তচাপ এবং প্রস্রাবের সঙ্গে এ্যালবুমিন বের হয়ে যেতে থাকে। এ রোগের নিশ্চিত শেষ পরিণতি মৃতু্য। রোগীনী আমাদের কাছে ২০০৯ সালে এক বছর চিকিতসা নেওয়ার পর আই সি ডি ডি আর বি তে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এ এন এ (নেগেটিভ) হয়ে যায় এবং প্রস্রাবের এ্যালবুমিনও নেগেটিভ হয়ে যায়। যা প্রমাণ করে যে, আমাদের চিকিতসায় ইনি দ্বিতীয় একজন রোগীনী যিনি এস এল ই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং অদ্যাবধি রোগ মুক্ত আছেন।


হেমোফিলিয়া (জন্মগত রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতাহীনতা)

রোগীর নাম : আবুল হাসান,ঠিকানা : অষ্ট্রিয়া, ভিয়েনা
রোগের বিবরণ : হেমোফিলিয়া একটি জন্মগত রোগ। এ রোগে দেহের রক্তক্ষরণ সহজে বন্ধ হতে চায়না। চিকিতসা বিজ্ঞানে এই রোগের কোন চিকিতসা নেই। আমাদের চিকিতসায় এ রোগের আরোগ্যের রেকর্ড ভিয়েনার হাসপাতালের চিকিতসকদেরকে বিস্মিত করেছে।


শোগ্রেনস সিনড্রম (অটোইমিউন জাতীয় রোগ)

রোগীর নামঃ ডাঃ কে জাহান (এমবিবিএস), ক্রমিক নং-৪৩১৭, তাং ১৬/১২/২০০৭, ঠিকানা : টেক্সাস -৭৭৪৫৯, আমেরিকা। (আমেরিকার বাসিন্দা)
রোগের বিবরণ : এ রোগের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অস্থি সন্ধির বেদনা। চিকিতসা বিজ্ঞানে এ রোগের একমাত্র চিকিতসা হচ্ছে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের সাহায্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকেজো করে রাখা। এমনি অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পেরেছে একমাত্র আমাদের চিকিতসা, যা চিকিতসা বিজ্ঞানীদের নিকট এক অবিশ্বাস্য বিস্ময়কর বিষয়। রোগীনী একজন চিকিতসক, যিনি নিজেই তার রোগমুক্তির কারণ খুঁজে পাননি।

হার্শস্প্রাংস ডিজিজ (বৃহদন্ত্রের বৃদ্ধি)

রোগীর নাম : গালিব, বয়স : ২ বছর, ঠিকানা : ঢাকা, সময় : ২০০৬ সাল ।
রোগের বিবরণ : এটি একটি জন্মগত রোগ যার একমাত্র চিকিতসা বৃহদন্ত্রের একটি অংশকে কেটে বাদ দেওয়া। শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম, আর খান সাহেবের চিকিতসাধীন এই শিশুকে আমাদের চিকিতসায় আনা হয় এবং বিনা অপারেশনে আরোগ্য লাভ করে। এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সাফল্য যা ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি।


টিউবারকুলার অষ্টিওমাইলাইটিস

রোগীর নাম : রেশমা, বয়স : ১৬ বছর, ঠিকানা : গাইবান্ধা।
রোগের বিবরণ : রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার সুযোগে যক্ষ্মা রোগের জীবানু অস্থিমজ্জার ভিতর প্রবেশ করে এবং দীর্ঘদিন যাবত প্রদাহ চালিয়ে যেতে থাকে। দেহের এই অবস্থাকে ইমিউনোকম্প্রোমাইজড অবস্থা বলা হয় যখন যক্ষ্মা রোগের চিকিতসা ঐ পচন বন্ধ করতে পারে না এবং অপারেশন করেও রোগকে থামানো যায় না । রোগের এই দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়াকে একমাত্র আমাদের চিকিতসাই বন্ধ করতে পারে। একথাটি বারবার পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। রোগীনীকে বিশ বছর আগে আমাদের নিকট পাঠিয়েছিলেন উম্মা মেডিকেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জয়নাল আবেদিন, যিনি নিজের হাঁটুর রিউমাটয়েড আথর্্রাইটিস রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে আমাদের চিকিৎসার উপর আস্থা অর্জন করেন।


অস্টিওমাইলাইটিস অব জ’বোন (চোয়ালের অস্থির ক্ষত)

রোগীর নাম : ফৌজিয়া মুস্তাফিজ, বয়স : ৪০বছর, ঠিকানা : সিঙ্গাপুর।
রোগের বিবরণ : সিঙ্গাপুর হাসপাতালের চিকিতসক আজ থেকে বিশ বছর আগে যখন রোগীনীর রোগ সনাক্ত করলেন এবং জানিয়ে দিলেন যে, এধরণের অটোইমিউন জাতীয় রোগের কোন চিকিতসা নেই, তখন তার প্রকৌশলী স্বামী আমাদের শরণাপন্ন হন এবং আমাদের চিকিতসা গ্রহণ করেন। মাত্র ছয় মাসে যখন রোগের সকল চিহ্ন দূর হয়ে গেল তখন সিঙ্গাপুরের চীন দেশীয় চিকিতসক আমাদের চিকিতসার সকল তথ্য জানতে আগ্রহী হন। বিশ বছর পরে রোগীনী এখনো সুস্থ আছেন।


পারকিনসন্স ডিজিজ (কম্পনজনিত রোগ)

রোগীর নাম : ফিরোজা বেগম, বয়স : ৭০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগে শরীরের যে কোন অঙ্গে কম্পন হতে পারে। এ রোগের অপর নাম প্যারালাইসিস এজিট্যান্স। এ রোগ বৃদ্ধ বয়সে দেখা দেয়। উন্নত বিশ্বে এ রোগে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিশ্ববিখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলী ক্লে এই রোগে ভুগছেন। এমনি একটি দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী আমাদের চিকিত্সায় সুস্থ হয়েছেন।


সোরাইসিস

রোগীর নাম : নূরুননিসা খানম, বয়সঃ ৫৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ ঃ সর্বাঙ্গের চর্ম রোগের এ্যালোপ্যাথিক চিকিতসা দীর্ঘদিন যাবত চলছিল। আমাদের চিকিতসা শুরু হওয়ার পর রোগীর ফিশ্চুলার ক্ষত থেকে ক্রমাগত পুঁজ ও রস নির্গত হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে চর্ম রোগের তীব্রতা কমতে থাকে। চিকিতসাকালীন সময়ে ডায়াবিটিস ধরা পড়ে। বর্তমানে ফিশ্চুলার ক্ষত শুকিয়ে গিয়েছে, ত্বক মসৃন হয়ে এসেছে এবং ডায়াবিটিসের তীব্রতা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড (জরায়ুর টিউমার)

রোগীর নাম : পিয়ারা বেগম, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা ।
রোগের বিবরণ : রোগীনীর স্বামী একজন এ্যালোপ্যাথিক বিশেষজ্ঞ চিকিতসক, যিনি সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। আমাদের চিকিতসার ক্ষমতা সম্বন্ধে সংশয় থাকা সত্বেও তিনি স্ত্রীর চিকিতসায় মত দিয়েছিলেন যার সুফল তারা পেয়েছেন। মাত্র এক বছরের চিকিতসার পর আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে টিউমারের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মহিলাদের বেলায় জরায়ু , ডিম্বকোষ (ওভারী) এবং স্তনের টিউমার সাধারনতঃ মাসিকের গোলযোগ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি বা ইনজেকশনের কারণেই বেশী সৃষ্টি হতে দেখা যায়। যার একমাত্র চিকিতসা হচ্ছে অপারেশন করা। অথচ আমাদের চিকিতসায় শতশত রোগীনী এ রোগ থেকে অতি সহজে আরোগ্য লাভ করছেন। মূলতঃ দেহের বিষমুক্ত হওয়ার বিষয়টি মহিলাদের বেলায় স্ত্রী জননেন্দ্রীয়ের সঙ্গে জড়িত। যে কারণে মহিলাদের বেলায় এ তিনটি অঙ্গে টিউমারের জন্ম হয়ে থাকে, যার প্রধান কারণ স্ত্রী দেহের বর্জ্য নিঃসরনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়া। এ কাজটি পূনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই জরায়ু, ডিম্বকোষ এবং স্তন এ তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হানির হাত থেকে মহিলাদেরকে রক্ষা করা সম্ভব, যা তাদেরকে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবিটিস এবং ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। পুরুষের বেলায় এমন একটি অঙ্গ হচ্ছে প্রষ্টেট গ্রন্থি যেটি বর্জ্য নিঃসরন প্রক্রিয়ার অভাবে ক্যান্সারে আক্রানত্দ হয়। আর পুরুষ এবং মহিলাদের বেলায় মুত্রথলির ক্যান্সার রোগটি একই কারণে ঘটে থাকে।


ইনফার্টাইলিটি (বন্ধ্যাত্ব)

রোগীর নাম : রাজিয়া সুলতানা, বয়স : ৩৫বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ প্রথম বারের মত গর্ভবতী হতে বিলম্ব হওয়ায় রোগীনী আমাদের চিকিতসায় আসেন। কিছুদিন চিকিতসার পর তিনি একটি সন্তান লাভ করেন। কোন জটিল কারণ না থাকলেও অনেক সময় কিছু হরমনজনিত কারণে মায়েদের সন্তান লাভ করতে সমস্যা হয়। যার সমাধান প্রচলিত এ্যালোপ্যাথিক চিকিতসায় সহজে না হলে আমাদের চিকিতসা সেখানে শারীরিক ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে সমস্যার সমাধান করে থাকে বলে বহুল সংখ্যক রোগীনীর বেলায় পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া মাকে চিকিতসা দেওয়ার ফলে শুধু মা’ই নয়, সন্তানও সুস্থ এবং সবল জীবন যাপন করছে। যেটা আমাদের চিকিতসার আরেকটি প্রধান লক্ষ্য।


ইনফার্টাইলিটি (বয়সজনিত বন্ধ্যাত্ব)

রোগীর নাম : ইয়াসমিন, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : যে বয়সে মেয়েদের মাতৃত্ব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা সেই বয়সকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব হয়েছে আমাদের এই চিকিত্সায় । এই চিকিত্সা বহু জটিল সমস্যাকে দুরীভূত করে মেয়েদেরকে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।


গ্লুকোমা (চক্ষুর উচ্চচাপ)

নাম : আরজানা খাতুন, ঠিকানা : বগুড়া।
রোগের বিবরণঃ ইহা চক্ষুর একটি জটিল রোগ। ক্রমাগত ড্রপজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। প্রয়োজনে অপারেশন করার দরকার পড়ে। বিভিন্ন স্থানে চিকিতসার পর চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মামুনুর রশীদ সাহেবের পরামর্শে আমাদের চিকিতসায় আসেন এবং সম্পূর্ণ ভালো হন। দীর্ঘ তিন বছর যাবত তিনি কোন ওষুধ ছাড়াই ভালো আছেন।


লেপ্রোমেটাস এবং টিউবারকিউলয়েড লেপ্রসি (কুষ্ঠ)

রোগীর নাম : ইস্রাফিল, বয়স : ৬০ বছর, ঠিকানা : বাসাবো, ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ এই রোগের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে দেহে ক্ষত সৃষ্টি করা এবং স্নায়ুকে অবশ করে দেহের বোধশক্তি নষ্ট করে ফেলা। দু’ধরনের জীবানুর দ্বারা উপরোক্ত দু’ধরনের কুষ্ঠ রোগের সৃষ্টি হয় । এ্যালোপ্যাথি চিকিতসায় ব্যবহৃত ওষুধ জীবাণুকে ধবংস করতে সক্ষম হলেও রোগকে নির্মূল করতে সক্ষম হয় না। ফলে প্রতিটি কুষ্ঠ রোগী ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি কুষ্ঠ রোগকে আজীবন বহন করে চলে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আমাদের চিকিতসা, যা রোগীর দেহকে রোগের বসবাসের অনুপযোগী করে তুলে এবং আজীবন রোগীকে শুধু একটিমাত্র নয় প্রায় সকলপ্রকার রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে।


২য় রোগীর নাম : মূলুক চাঁদ, বয়স : ৫০ বছর, ক্রমিক নং ১৩৯ তাং ০১-০৭-১৯৯৪, ঠিকানা : মিরপুর সেক্টর নং ১১, বিহারী পাড়া।
৩য় রোগীর নাম : বিবি হাওয়া, বয়স : ৪৫ বছর, ক্রমিক নং ১৪০, তাং ঐ ঠিকানাঃ ঐ
৪র্থ রোগীর নাম : আবদুল কাদের, বয়স :৫০ বছর, ক্রমিক নং ১৪১, তাং ঐ, ঠিকানাঃ ঐ
৫ম রোগীর নাম : জাকির হোসেন, বয়স : ৪৫ বছর, ক্রমিক নং ১৪২, তাং ঐ, ঠিকানাঃ ঐ
৬ষ্ঠ রোগীর নাম : আবদুল, বয়স : ৪৮ বছর, ক্রমিক নং ১৪৩, তাং ঐ, ঠিকানা : ঐ
৭ম রোগীর নামঃ মোঃ মর্তুজা, বয়স : ৫০ বছর, ক্রমিক নং ১৪৪ তাং ২৭-৭-১৯৯৪, ঠিকানা : ঐ
৮ম রোগীর নাম : মোঃ কাউছার, বয়স : ৩৫ বছর, ক্রমিক নং ১৪৪, তাং ঐ, ঠিকানাঃ ঐ
৯ম রোগীর নাম : জামিল আহমেদ, বয়স : ৬০ বছর, ক্রমিক নং ঐ ঠিকানা : ঐ
১০ম রোগীর নাম : তারা বানু, বয়স : ৩০ বছর, ক্রমিক নং ঐ ঠিকানা : মিটফোর্ড হাসপাতাল ।
১১শ রোগীর নাম : রেনু মিয়া, বয়স : ৩৫ বছর, ক্রমিক নং ১৪৬, তাং ৩১-০৭-১৯৯৪ ঠিকানা : ভৈরব
১২শ রোগীর নাম : মোসলেম খান, বয়স : ৪৫ বছর, ক্রমিক নং ঐ, তাং ঐ, ঠিকানা : কুমিল্লা
১৩শ রোগীর নাম : ফিরোজা, বয়স : ৩৫ বছর, ক্রমিক নং ঐ, তাং ঐ, ঠিকানা : রংপুর
১৪শ রোগীর নাম : মুন্না , বয়স : ৩০ বছর, ক্রমিক নং ঐ, তাং ০৯-০৮-১৯৯৪, ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা।
মাত্র একবছরে ১১নং মিরপুরের উপরোক্ত কুষ্ঠরোগীদেরকে সুস্থ করে তোলা হয়।


পামার ফাইব্রোমেটোসিস (হাতের তালুর ত্বক পুরু হওয়া)

রোগীর নাম : হাফিজুর রহমান রতন, বয়স : ৪২বছর, ঠিকানা : নারায়ণগঞ্জ।
রোগের বিবরণঃ এই রোগে হাতের এবং পায়ের তালুর ত্বক পুরু হয়ে যায়, ফলে স্বাভাবিক কাজ কর্মে বাধার সৃষ্টি হয় এবং ধীরে ধীরে রোগী পঙ্গু হয়ে যায় এবং শেষে তার হাতের বাঁকা হয়ে যাওয়া আঙ্গুলটি কেটে বাদ দিতে হয়। যদিও এ রোগটিকে ক্যান্সার বলা যায় না কিন্তু অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট জটিলতা বিশিষ্ট এ রোগের কোন চিকিতসা নেই। এই রোগের কারণ আজও জানা যায় নি। আমাদের জানামতে বিশ্বে সর্বপ্রথম আমরাই এ রোগটি আরোগ্য করতে সক্ষম হয়েছি । দীর্ঘ ১ বছর আমাদের চিকিতসায় এই রোগীটি ভালো হয়ে যায়।


স্পাইনাল ষ্টেনোসিস (মেরুমজ্জার সংকীর্নতা)

রোগীর নাম : পান্নালাল পোদ্দার (ইঞ্জিনিয়ার), বয়স : ৪৮ বছর, ঠিকানা : কানাডার বাসিন্দা ।
রোগের বিবরণ :- মানুষের মস্তিষ্ক পিঠের মেরুদন্ডের ভিতর দিয়ে বিদদুতের তারের ন্যায় একগোছা স্নায়ূর সাহায্যে দেহের প্রতিটি অংগকে পরিচালনা করে থাকে। এই স্নায়ুগুচ্ছ যদি কোন এক জায়গায় সরু হয়ে যায় তাহলে মানুষের নিম্নাঙ্গ অবশ হয়ে যেতে থাকে। কানাডার চিকিতসক ডাঃ বু “এম আর আই” নামক পরীক্ষা করার পর বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন যে এ রোগের কোন চিকিতসা নেই এবং অপারেশন করলে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এর পর বাংলাদেশে এসে জহুরা মার্কেটের রুম নং ৩৬ এর প্রকৌশলী ইসলাম সাহেবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের চিকিতসায় এসে সুস্থ হন এবং পরে কানাডায় পরীক্ষা করিয়ে আরোগ্য সম্বন্ধে নিশ্চিত হন। ডাঃ বু এর কাছে এটা ছিল এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা।


ভাইরাল কেরাটাইটিস (ভাইরাস জনিত চোখের ক্ষত)

রোগীর নাম : সাকিল আহমেদ, বয়স : ৩০ বছর, ঠিকানা : মগবাজার, ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এ রোগে চোখের কর্নিয়াতে ভাইরাস দ্বারা ক্ষত সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত ধীরেধীরে বাড়তে থাকে। এর একমাত্র চিকিতসা হচ্ছে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ যা রোগ যন্ত্রণাকে কমিয়ে রাখে কিন্তু তকে সারাতে পারে না। আমাদের চিকিতসায় একটু সময় লাগলেও রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়ে যায়।


ভাইরাল কেরাটাইটিস (ভাইরাস জনিত চোখের ক্ষত)

রোগীর নামঃ আমিনুল ইসলাম, বয়সঃ ৩২বছর, ঠিকানাঃ হবিগঞ্জ, সিলেট।
রোগের বিবরণঃ-ঐ


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস

রোগীর নাম : রিনা জামান, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগীনি নানাবিধ মেয়েলী রোগ নিয়ে এসেছিলেন। চিকিতসা শুরু করার পর তার শরীরের বিভিন্ন পথ দিয়ে বিষ নিঃসরণ শুরু হয় এবং চলতে থাকে। প্রথমে ডান পায়ের পাতায় আঙ্গুলের ফাঁকে একটি ফোড়া দেখা দেয়। এরপর ডান স্তন থেকে বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত কষ ঝরতে থাকে। এর ফলে তার মাথার ডান পাশের ব্যথা, ডানদিকের শ্বাসকষ্ট এবং লিভারের সমস্যা কমে যেতে থাকে। এতে রোগীনি সুস্থ বোধ করায় ওষুধ চালিয়ে যেতে থাকেন। ধীরে ধীরে তার শরীরের ছুলির পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে। এর কিছুদিন পর থেকে তার দেহের ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ হালকা হয়ে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ ধারন করতে থাকে, যা এখনো চলছে। আমাদের মতে অস্থিমজ্জা এবং লিভারের কর্মক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে দেহে অধিকমাত্রায় মেলানিন এর সৃষ্টির কারণে মানুষ এত বেশী কৃষ্ণকায় হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে রোগীনির রক্ত পরীক্ষায় ডায়াবিটিস এবং উচ্চরক্তচাপ ধরা পড়ে যা বর্তমানে কমে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, প্রষ্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি

রোগীর নাম : আবদুল গাফ্ফার, বয়সঃ ৬৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : প্রষ্টেট গ্রন্থি অপারেশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসে আমাদের চিকিতসা নিয়ে তার ডায়াবিটিসের তীব্রতা কমে যায় এবং পাশাপাশি প্রষ্টেটের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। এর আগে রীতিমত ডায়াবিটিসের এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করেও আজীবন ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি তিনি।


ডায়াবিটিক গ্যাংগ্রীন এবং নিউরোপ্যাথি

রোগীর নাম : আবদুল আজিজ, বয়সঃ ৫০ বছর, ঠিকানাঃ ঢাকা।
রোগের বিবরণ : রোগের শুরু থেকে রোগী এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করে আসছিলেন এবং পাশাপাশি গুল বা তামাক ব্যবহারের অভ্যাসটি বজায় রেখেছিলেন। ফলে একসময় তার পায়ের টিবিয়া নামক অস্থির সম্মুখের দিকে একটি ক্ষত সৃষ্টি হয় যা ওষুধের দ্বারা বন্ধ হচ্ছিল না। আমাদের চিকিতসায় প্রচুর দুর্গন্ধযুক্ত রস ক্ষরণের পর ‘ঘা’ টি শুকিয়ে যায়। এতে তার ডায়াবিটিসের তীব্রতা কমে আসে।


গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস (কিডনি প্রদাহ)

রোগীর নাম : শামিমা ইয়াসমিন, বয়স : ৩৫বছর ঠিকানা : ডেমরা, ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ লেঃ কর্ণেল ডাঃ আমজাদ হোসেন ফকির (সি,এম,এইচ) সাহেব কিডনির বায়োপসি করে রোগটিকে সনাক্ত করেন। এরপর এ রোগের একমাত্র চিকিতসা প্রেডনিসোলন নামক ষ্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করেও প্রস্রাবের এলবুমেনকে ৪+ থেকে কমাতে ব্যর্থ হন। তখন রোগীনি আমাদের চিকিতসায় আসেন। এ রোগের ধরন হচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে সৃষ্ট অটোইমিউন জাতীয়, যখন দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজেই কিডনির নেফ্রন নামক রক্ত পরিস্কারক ছাকনিসমূকে ধবংস করতে শুরু করে। চিকিতসা বিজ্ঞানে এই রোগের একমাত্র সমাধান হচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে কঠোরভাবে অকর্মণ্য করে রাখা। যার দ্বারা শুধুমাত্র রোগের গতিকে কমিয়ে কিছুদিন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
এযাবত কেবলমাত্র আমরাই পেরেছি এই রোগের সঠিক চিকিতসা দিতে যার ফলে শ্বেতকণিকা ভুল করে কিডনিকে ধবংস করা থেকে বিরত হয়। এভাবে আমরা বেশ কয়েকজন রোগীকে সুস্থ করতে পেরেছি যারা প্রায় ১০ বছর যাবত সুস্থ আছেন।


গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস বা কিডনি প্রদাহ

রোগীর নামঃ হেলেন বেগম, বয়সঃ ৪০বছর ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ ১৯৯২ সালে এই রোগে আক্রানত্ম অবস্থায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ডায়ালাইসিস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন সময় আমাদের কথা জেনে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের ওষুধ সেবন করা শুরু করেন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রস্রাবে এ্যালবুমিনের মাত্রা কমতে শুরু করে এবং তিন মাসে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। সেই রোগ আর কোন দিন ফিরে আসেনি।


স্পন্ডিলাইটিস, ফিশ্চুলা, হার্নিয়া, গ্যাস্ট্রিক আলসার

রোগীর নাম : হারুন রশীদ, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : প্রথম জীবনে ফিশ্চুলা রোগটি অপারেশন দ্বারা আরোগ্য করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু বারবার রোগটি ফিরে আসে। এভাবে তিনবার অপারেশন করা হয় । এরপর স্পন্ডিলাইটিস বা ঘাড়ের বেদনা রোগটি দেখা দেয়। আমাদের দ্বারা স্পন্ডিলাইটিস রোগের চিকিতসা শুরু করলে ফিশ্চুলা রোগটি ফিরে আসে এবং মলদ্বারের পারশোবরতী অপারেশন দ্বারা বন্ধ করা ঘায়ের মুখটি খুলে গিয়ে প্রচুর পুঁজ এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এভাবে শরীরের রোগবিষ নিঃসরণ কিছুদিন চলার পর তার ঘাড়ের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। তারপর তার তলপেটের ডানপাশের কুঁচকিতে হার্নিয়া নামক রোগ দেখা দেয়, সে রোগটিও আমাদের চিকিতসায় ভালো হয়ে যায়। এরপর তার প্রথম জীবনের গ্যাস্ট্রিক আলসারজনিত সমস্যাটি ফিরে আসে, যে রোগটি ওমিপ্রাজল দ্বারা ভালো করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে সে রোগটিও ভালো হয়ে যায়। এভাবে আমাদের চিকিতসা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে সৃষ্ট সকল রোগকে ধারাবাহিকভাবে আরোগ্য করতে পারে।


ফিশ্চুলা ইন এ্যানো (ভগন্দর)

রোগীর নাম : শাহ জালাল, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগে মলদ্বারের পাশে একটি ফোড়া হয় যেটি নালী ঘার সৃষ্টি করে। এক সঙ্গে তিন চারটি নালী ঘার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই ঘা থেকে ক্রমাগত পূজ ও রক্তক্ষরণ হতে থাকে। একমাত্র অপারেশন ব্যতিত এই রোগের কোন চিকিত্সা নেই। বারবার অপারেশন করার পরও এই রোগ ফিরে আসে। শেষ পর্যনত্ম রোগীর বসতে কষ্ট হয় তাই একটি নরম গদী সব সময় সঙ্গে রাখতে হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সাতেও এই রোগ চিরতরে নির্মূল হয়না, বারবার ফিরে আসে। আমাদের চিকিত্সায় দেহে উত্পাদিত বিষাক্ত উপাদানসমূহকে ধবংস করার উপযোগী শ্বেতকণিকা সৃষ্টি হয়। ফলে রোগ আর ফিরে আসে না। এই রোগীকে সুস্থ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগেছে ।

ইরিটেবল বাওয়েলস সিনড্রম (হজমের গোলমাল )


রোগের নাম : জাহানারা বেগম, বয়স : ৩৫বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের স্ত্রীর জীবন কত যে দুর্বিসহ হতে পারে তার একটি উদাহরণ এই রোগীণী। হজমের গোলমালকে আরোগ্য করতে না পেরে চিকিত্সকেরা বেশ কয়েকটি মাড়ীর দাঁত তুলে ফেলেছিলেন যার সঠিক কারণ রোগীণী জানেন না। দীর্ঘ ২৫ বছর রোগে ভোগার পর মাত্র ২০ দিনে যখন তিনি সব খাদ্য খেয়ে হজম করতে সক্ষম হলেন তখন তিনি তার পীর সাহেবের প্রতি আরো বেশী শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়লেন, যে পীর সাহেব তাকে আমাদের নিকট আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক যে, হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন পদ্ধতির জটিল বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞতার কারণে দ্রুত আরোগ্য লাভের ফলে সরলমতি রোগীরা আরোগ্য লাভের পর চিকিত্সকের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে অধিক আস্থাশীল হয়ে পড়েন।


রিউমেটিক ফিভার বা বাত জ্বর (অটোইমিউন জাতীয় রোগ)

রোগীর নাম : আলীম, বয়স : ৬ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ এই ছেলেটির যখন বাতজ্বর ধরা পড়ল তখন তার এ, এস, ও ছিল ৩৫০। তখন প্রফেসর এম,আর,খান সাহেব প্রতিমাসে বার লক্ষ শক্তির পেনিসিলিন ইনজেকশন দিতে বললেন ষোল বছর বয়স পর্যনত্ম। কিন্তু তিন মাস ইনজেকশন দেওয়ার পর যখন তার এ, এস,ও বেড়ে ৮৬০ এ দাড়াল তখন শিশুটির জ্বর এবং অস্থিসন্ধিগুলোতে প্রচন্ড ব্যথা আরো বেড়ে গেল। এতে রোগীর পিতা রোগীকে আমাদের চিকিত্সায় নিয়ে এলেন এবং মাত্র একমাসে শিশুটির জ্বর এবং এ,এস,ও কমে আসল। এ, এস, ও ২০০ এর নিচে নেমে আসতে প্রায় ৮/৯ মাস সময় লেগেছিল। রোগীর আত্মীয়স্বজন ততদিনে শিশুটির হার্টেও ভাল্ব নষ্ট হয়ে গিয়েছে ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা না পড়াতে তারা আশ্বসত্ম হলেন। বর্তমানে তার বয়স ৩০ বছর। অদ্যাবধি তার বাতজ্বরের কোন রোগলক্ষণ ফিরে আসেনি।


রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিবাত (অটোইমিউন জাতীয় রোগ), ডায়াবিটিস

রোগীর নাম : আবদুল আলী ভূইয়া, বয়স : ৬০ বছর, ঠিকানা : বাসাবো, ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগী দীর্ঘদিন যাবত উপরোক্ত রোগে ভুগেছেন এবং এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করে বেদনাকে এবং রক্তের শর্করার পরিমাণকে কমিয়ে রেখেছেন। এইচ, এল, এ -ডি, আর-৪ নামক জিনগত দোষের কারণে সৃষ্ট এই অটোইমিউন জাতীয় রোগ নিয়ে আজন্ম যে রোগে তিনি ভুগেছেন তার প্রভাবে পূর্ণ বয়স্ক চারটি সনত্মানই অপুষ্টি, রক্তশূণ্যতা, হজমের সমস্যা, ক্রমাগত জ্বরের প্রবণতা ইত্যাদি জটিল সব সমস্যা নিয়ে জীবন শুরু করেছে। অবশেষে তিনি আমাদের চিকিত্সায় সন্ধিবাত থেকে আরোগ্য লাভ করেন এবং ডায়াবিটিসের তীব্রতা থেকে মুক্তি পান।


রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (সন্ধিবাত) এবং রিউমেটিক ফিভার (বাতজ্বর)

রোগীর নামঃ মোঃ মিজানুর রহমান, বয়সঃ ৪০বছর, ঠিকানাঃ
রোগের বিবরণঃ-মানবদেহে শ্বেতকণিকার মাঝে জন্মগতভাবে প্রাপ্ত বিষের নাম এইচ, এল, এ -বি ২৭ এর প্রভাবে এই রোগের প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এই রোগটি এক ধরনের অটোইমিউন রোগ, যাতে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিজেই অস্থিসন্ধিতে বিদ্যমান উপাদানকে ধবংস করতে শুরু করে। দেহকে বহিরাগত শত্রুর হাত থেকে রক্ষাকারী বাহিনী হচ্ছে শ্বেতকণিকা, যার সঠিক সিদ্ধানত্ম নিতে ভুল হয় বলেই এমন একটি আত্মঘাতী রোগের সৃষ্টি হয়।
এইরোগের ক্ষেত্রে একমাত্র প্রেডনিসোলন অথবা এম,টি,এঙ্ (মেথোট্রেঙ্টে) নামক ওষুধই পারে রোগকষ্টকে কমিয়ে রাখতে। কিন্তু এ ওষুধের ফল অতীব ভয়াবহ। দেহের অস্থিসন্ধি বা জোড়াগুলো ধীরে ধীরে জোড়া লেগে শক্ত হয়ে যায়। ফলে রোগী স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে মৃতু্যবরন করে। এই রোগে আক্রানত্ম রোগীরা আমাদের কাছে আসার আগে কোন দিন স্বপ্নেও সুস্থ হওয়ার কথা ভাবেন নি।


রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিবাত

রোগীর নাম : পারুল, বয়স : ৩৫বছর, ঠিকানা : তেজগাঁও, ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ দীর্ঘদিন সন্ধিবাত রোগে ভুগে অবশেষে আমাদের চিকিত্সায় বর্তমানে ইনি সুস্থ জীবন যাপন করছেন।


হাইড্রোকেফেলাস এবং ম্যাক্রোসেফালি (জল সঞ্চয়জনিত মসত্মিষ্কের বৃদ্ধি)

রোগীর নাম : পারভেজ, বয়স : ৬ বছর, ঠিকানা : মুন্সিগঞ্জ।
রোগের বিবরণ : রোগীকে প্রফেসর রশীদ উদ্দিন সাহেবের দ্বারা মস্তিষ্ক অপারেশন করার জন্য ঢাকাতে জহুরা মার্কেটে আনা হয়েছিল। পরে অপারেশনজনিত ঝুঁকি এড়াবার জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। জ্বর এবং খিঁচুনী হওয়ার লক্ষণগুলো চার সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বৃহত আকারের মস্তিষ্কের আকৃতি সংকুচিত হতে দুই বছর সময় লাগে।


এ্যাজমা

রোগীর নামঃ কে জেড ডব্লিউ মাওলা, বয়স : ৫৬ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : রোগীর পিতা একজন এ্যাজমা রোগী ছিলেন। জন্মগতভাবে রোগী এই রোগটি পেয়েছেন। তবুও আমাদের চিকিত্সায় তিনি রোগমুক্ত হন এবং দীর্ঘদিন যাবত সুস্থ আছেন। আমাদের চিকিত্সা সম্বন্ধে মাওলা সাহেব বলেন “আমি, আমার স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে আমাদের পরিবার। আমাদের বিগত বিশ বছরে অন্য কোন চিকিত্সকের কাছে চিকিত্সা নিতে হয় নি। আমরা সবাই এই চিকিত্সার সাহায্যে রোগমুক্ত জীবনযাপন করছি।”


বার্জারস ডিজিজ (থ্রম্বো-এ্যাঞ্জিয়াইটিস অবলিটারেন্স)

রোগীর নাম : নুরুল ইসলাম, বয়স : ৩৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ঘায়ের সৃষ্টি হয় যা ধীরে ধীরে উর্দ্ধদিকে গমন করে একই সঙ্গে প্রচন্ড যন্ত্রণায় রোগী দিনরাত চিত্কার করতে থাকে যা ব্যথার ওষুধে কমাতে পারে না। তখন তল পেটে অপারেশন করে ব্যথার অনুভূতি বন্ধ রাখার জন্য একটি স্নায়ুকে কেটে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে ব্যথা কমলেও ক্ষতের বৃদ্ধি বন্ধ করা যায় না। যা ধীরে ধীরে কোমর পর্যনত্ম পৌছে রোগীকে মৃতু্যর দিকে নিয়ে যায়। ধুমপানকে এই রোগের প্রধান কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে এ রোগের পিছনে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার সুযোগে ক্রিয়াশীল নানাবিধ রোগবিষই দায়ী। কারণ আমাদের দ্বারা আরোগ্যপ্রাপ্ত প্রতিটি রোগীই হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন পদ্ধতির দ্বারা বিষমুক্ত হয়ে সুস্থতা লাভ করেছে।


গ্যাংগ্রীন

গ্যাংগ্রীন রোগীর নাম : হুমায়ুন কবির, বয়স : ৪২বছর, ঠিকানা : বংশাল, ঢাকা।
রোগের বিবরণ : ধমনীতে চর্বিজাতীয় পর্দাথের দ্বারা রক্তের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হলে যে কোন অঙ্গে পচন ধরে যেতে পারে। অনেক সময় অঙ্গটিকে কেটে বাধ দিলেও পচন ক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব হয় না। এমনি অবস্থায় রক্তপ্রবাহ বন্ধকারী প্রক্রিয়াকে থামাতে না পারলে রোগীর জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা যখন এই রোগীকে চিকিত্সা করতে শুরু করি তখন রোগীর ডান পায়ের পাতা পচন ধরে ঝুলে পড়েছিল এবং দেহের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রিতে স্থায়ী হয়েছিল। আমাদের চিকিত্সা অতিদ্রুত রোগযন্ত্রণা কমিয়ে দিয়েছিল কিন্তু দীর্ঘ একবছর যাবত তার পায়ের গোড়ালির নিচে একটি ছিদ্র দিয়ে ক্রমাগত দুর্গন্ধযুক্ত রসক্ষরণ হওয়ার পর সম্পূর্ণ ঘাটি শুকিয়ে যায়।


ভিটিলিগো বা লিউকোডার্মা (শ্বেতী)

রোগীর নাম : সালমা বেগম, বয়স : ৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : দেহে মেলানিন নামক উপাদান জন্ম নেয় যা ত্বকের রংকে শ্যামবর্ণ প্রদান করে। দেহে জন্মগতভাবে প্রাপ্ত সুপ্ত যক্ষ্মারোগ সেই মেলানিন নামক উপাদানকে ধ্বংস করে ফেললে ত্বকের রং সাদা হয়ে যায়। চিকিত্সা বিজ্ঞান আজও এর কোন চিকিত্সা বের করতে পারেনি। মেলানিনকে বাইরে থেকে ত্বকে প্রয়োগ করে অভাব পূরণ করা যাচ্ছেনা। একমাত্র আমাদের চিকিত্সাই এ রংকে ফিরিয়ে দিতে পারে। এই রোগীকে সুস্থ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল। রোগীর বর্তমান বয়স ১৯ বছর।


টিউবোওভারিয়ন সিষ্ট (ডিম্বনালীর সিষ্ট জাতীয় টিউমার)

রোগীর নাম : নিশাত সুলতানা, বয়স : ৩৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা ।
রোগের বিবরণ : টিউমার জাতীয় রোগের পরিণতি সাধারনতঃ ক্যান্সার রোগে পরিসমাপ্তি ঘটে। সর্বাঙ্গীনভাবে দেহকে বিষমুক্ত করতে না পারলে শুধু টিউমারকে ধবংস করা যায়না। তাই একমাত্র আমাদের চিকিত্সাতেই অপারেশন ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


ইউটেরাইন প্রোলাপ্স (জরায়ুর স্থানচুতি)

রোগীর নাম : সাজেদা খানম, বয়স : ৬২বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : স্ত্রী লোকের তলপেটে পর্দার সাহায্যে জরায়ু নামক সন্তান ধারণকারী অঙ্গটিকে উপরের দিকে ধরে রাখা হয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্দার শক্তি কমে গেলে জরায়ুটি নিচের দিকে নেমে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। তখন রোগীনীর চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে । এর একমাত্র চিকিত্সা হচ্ছে জরায়ুটিকে কেটে বাদ দেওয়া, যা শরীরের জন্য অত্যনত্ম ক্ষতিকারক। কারণ ঐ স্ত্রী অঙ্গটি শুধুমাত্র সন্তানই ধারন করে না বরং দেহের হরমনের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যার অভাব অকাল বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে। আমাদের চিকিত্সায় পর্দার শক্তি ফিরে আসে এবং জরায়ুটি স্বস্থানে ফিরে যায়। এটাই হচ্ছে আমাদের চিকিত্সার কারিশমা যা উপলব্ধি করতে চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা সক্ষম হচ্ছেন না।


ফরসেপ ডেলিভারীজনিত ক্ষত

রোগীর নাম : সাইদা ইসলাম, বয়স : ৫০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : প্রথম সন্তানের প্রসবের সময় ফরসেপ ডেলিভারীর কারণে সৃষ্ট ক্ষত কিছুতেই ভালো হচ্ছিল না যা ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন সবাই। দীর্ঘ বাইশ বছর মেয়াদী এই ক্ষতটি আমাদের চিকিত্সায় আরোগ্য লাভ করে।


হ্যাবিচুয়াল এ্যাবোরশন (বারবার গর্ভপাতের প্রবণতা)

রোগীর নাম : হেলেন বেগম, বয়স : ২৭ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : দুটি সন্তান বিনষ্ট হওয়ার পর আমাদের চিকিত্সা শুরু হয়। তিন মাস গর্ভকালের সময় অতিক্রম করার পর রোগী ভীতি কাটিয়ে ওঠেন এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা চালিয়ে যান। এরপর দ্বিতীয় সন্তানের বেলায় আর কোন ওষুধ সেবন করতে হয় নি। যেহেতু এ ধরণের অস্বাভাবিক গর্ভপাতের কারণ হচ্ছে মায়ের শরীরে সনত্মান একটি বহিরাগত উপাদান, এই বোধটি সনত্মানের পূর্ণ বিকাশ হওয়ার আগেই যদি ভুলক্রমে মায়ের শরীরে জন্মে, তাহলে মায়ের শরীর সেই সনত্মানকে দেহ থেকে নির্বাসিত করে ফেলে। এহেন ভুল সিদ্ধানত্ম থেকে দেহকে প্রতিহত করতে পারে শুধুমাত্র আমাদের চিকিত্সা। যার অসংখ্য উদাহরণ আমাদের কাছে রয়েছে


গর্ভকালীন সমস্যা

রোগীর নাম : ইয়াসমিন, বয়স : ২২ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : মেয়েরা গর্ভবতী হলে কখনো কখনো বমি এবং ক্ষুধাহীনতায় ভুগে থাকে যা মায়েদেরকে স্বাস্থ্যহীন এবং রক্তশূণ্য করে ফেলে। এ অবস্থায় মায়েদের এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে কারণ যে কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গর্ভপাত হয়ে সন্তানের অকাল মৃতু্য হতে পারে। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং ক্রমাগত না খেয়ে থেকে স্বাস্থ্যহীন শিশুর জন্ম দেন। এসময় আমাদের ওষুধ মায়েদের ক্ষুধাকে ফিরিয়ে দিয়ে মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য লাভ করতে সাহায্য করে। এর অগনিত উদাহরণ রয়েছে যা ভবিষ্যত বংশধরদিগকে নিরোগ স্বাস্থ্য লাভের একটি নিশ্চিত পদক্ষেপ হিসাবে পরিগনিত করা চলে।


উচ্চ রক্তচাপ

রোগীর নাম : মহসিন কবির, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : উচ্চরক্তচাপ রোগটি লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি অংগের স্বাভাবিক ক্রিয়ার বিশৃঙ্খলার জন্য সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাধারণতঃ কিডনি দ্বারা নিঃসৃত রেনিন নামক উপাদানের তারতম্যের উপর উচ্চরক্তচাপ নির্ভর করে। চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা যে কয়টি উপায়ে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাতে ধীরে ধীরে কিডনির অক্ষমতার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এভাবে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আমাদের চিকিত্সার দ্বারা লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি যন্ত্রকে সুস্থ করে আমরা উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে থাকি, যার ফলে কিডনির ক্ষতি সাধিত হয় না। এই রোগীটির উচ্চরক্তচাপ প্রায়ই ২২০/ ১১০ এর মধ্যে থাকত। কোন ওষুধেই তা কমানো যেত না। বর্তমানে সে রক্তচাপ ১২০/৮০ নেমে এসেছে। বর্তমানে কোন ওষুধ ছাড়াই তা আর বাড়ছে না ।


বংশগত উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের প্রবণতা

রোগীর নামঃ হোসনে আরা রহমান, বয়সঃ ৪৫বছর, ঠিকানাঃ ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের মতে বংশগতভাবে প্রাপ্ত রোগ প্রবণতার হাত থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে না। কেবলমাত্র রোগের তীব্রতাকে কমিয়ে রোগকষ্টকে উপশমের জন্য ওষুধ সেবন করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন এভাবে রোগকষ্ট কমিয়ে রাখার ফলে রোগের তীব্রতা বাড়তেই থাকে। ফলে ওষুধের মাত্রা বাড়াতে কিংবা শক্তিশালি ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। এতে দেহের কিডনি, লিভার ইত্যাদি যন্ত্র ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রসত্ম হতে থাকে এবং নতুন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় । এ কথাটি চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা খুব ভালো করে জানেন কিন্তু বিকল্প পথ না থাকার কারণে তারা চিকিত্সা পদ্ধতির কোন পরিবর্তন করতে পারছেন না। এই রোগীনি আজীবন স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলার পরও উপরোক্ত সমস্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষে একদিন বিচলিত হয়ে আমাদের চিকিত্সায় এসে পড়েন এবং বর্তমানে ওষুধ মুক্ত জীবন যাপন করছেন।


হেপাটাইটিস (লিভারের সমস্যা এবং জন্ডিস)

রোগীর নামঃ সাখাওয়াত হোসেন বয়সঃ ৪৫ বছর, ঠিকানাঃ জি পি ও, ঢাকা। রোগের বিবরণঃ দীর্ঘদিন যাবত লিভারের সমস্যাজনিত কারণে সৃষ্ট মুখের দাগ দূর করার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় ক্রীম মাখার ফলে দেহের বিদ্যমান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতা বেড়ে গিয়ে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়, যা তাকে মৃতু্যর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল। এমনি অবস্থায় আমাদের চিকিত্সা তাকে নবজীবন দান করে।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, আর্টারী ব্লক, ওপেন হার্ট সার্জারির জটিলতা

রোগীর নাম : বজলুর রহমান, বয়সঃ ৬০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ ওপেন হার্ট সার্জারির পর তার বুকের সেলাইজনিত ক্ষত ভালো হচ্ছিলনা। উচ্চশক্তির এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেও বুকের পাঁজরের জোড়া দেওয়া অস্থিতে ক্রমাগত পচন ধরে যাচ্ছিল। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও উপকার হচ্ছিল না। এমন সময় আমাদের ওষুধ তাকে মৃত্তুর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। এমনি ঘটনা বারবার আমাদের চিকিত্সায় ঘটলেও মানুষ অজ্ঞতার কারণে আমাদের চিকিত্সার সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হন।


হৃত্পিন্ডের রোগ, ওপেন হার্ট সার্জারির পরবর্তী জটিলতা

রোগীর নাম : কবির আহমেদ, বয়সঃ ২৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : হার্টের মাঝের পর্দার জন্মগত ছিদ্র বন্ধকরার জন্য অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। শরীরে রক্তশূণ্যতা ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যার কারণে উপরোক্ত অপারেশনের প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই আমাদের চিকিত্সায় রোগীকে রোগমুক্ত সুস্থ ও সবল করার পর অপারেশনটি সম্পন্ন করা হয়। অপারেশনের পরবর্তী জটিলতাও আমাদের চিকিত্সার দ্বারা দুর করার ফলে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করছেন। এটি এ্যালোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথির যৌথ প্রয়োগের একটি সফল উদাহরণ।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের বাইপাস সার্জারির পরবর্তী জটিলতা

রোগীর নাম : মোঃ হোসেন, বয়স : ৫৫ বছর, ঠিকানা : বরিশাল।
রোগের বিবরণঃ উপরোক্ত সবকয়টি রোগের পিছনে একটিমাত্র কারণ দায়ী । সে কারণটি হচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃঙ্খলা, যাকে আরোগ্য করতে না পারলে এসব রোগের গতিকে থামানো সম্ভব নয়। আমাদের চিকিত্সা পদ্ধতি সে কাজটি করে থাকে যার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী চিকিত্সা । অনেকে শুধু দু’একটি লক্ষণ থেকে মুক্তি পেলেই চিকিত্সা বন্ধ করে দেন। যে কারণে রোগ আবার ভিন্ন রূপ নিয়ে দেখা দেয়। এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সায় দীর্ঘদিন ওষুধ সেবনের ফলে রোগের তীব্রতা বাড়তেই থাকে। কিন্তু আমাদের চিকিত্সায় দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করলে ধীরে ধীরে রোগের তীব্রতা কমতে থাকে এবং কিছু কিছু রোগ চিরতরে নির্মূল হয়ে যায়। এ বিষয়টি পরিস্কারভাবে না বুঝার কারণে আমাদের অনেক রোগী কর্মব্যস্ততার কারণে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিয়ে অনেক সময় ওষুধের প্রকৃত ফলাফল পেতে ব্যর্থ হয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। ঠিক এই ব্যাপারটি ঘটেছিল এই রোগীর বেলায়। পরবর্তীকালে রোগী ফিরে আসাতে পূর্ণ চিকিত্সা লাভ করে সুস্থ হন।


মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (হৃত্পিন্ডের রোগ)

রোগীর নাম ঃ কাজী ইমদাদুল হক পাপ্পু,
রোগের বিবরণঃ হৃত্পিন্ডের মাংস পেশীর শিরা সংকুচিত হয়ে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে মাংস পেশীর কোন একটি অংশ রক্তশূণ্য হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন ঐ স্থানে ব্যথা হয় এবং ধীরে ধীরে গোটা হার্টটি বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্তায় বাইপাস সার্জারীর দ্বারা বন্ধ হয়ে যাওয়া শিরাটিকে বিকল্প ব্যবস্থায় চালু করা হয়। এই চিকিত্সা ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের চিকিত্সায় বন্ধ হয়ে যাওয়া শিরাটি প্রসারিত হয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। যেমনটি হয়েছে আমাদের এই রোগীর বেলায়।


পালপিটেশন অব হার্ট বা দীর্ঘমেয়াদী হৃত্কম্প

রোগীর নাম : আলী আশরাফ, বয়স : ৫০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : চর্ম রোগকে এ্যালোপ্যাথিক ইনজেকশন দ্বারা চাপা দিলে ভবিষ্যতে যে করুণ পরিণতি হয় তারই শিকার হয়ে দীর্ঘদিন যাবত হৃত্পিন্ডের স্নায়বিক দুর্বলতাজনিত রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। এ রোগের চিকিত্সা করতে গিয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সকেরা প্রায় সর্বদাই একটি বড় ভুল করে থাকেন। ওষুধের সাহায্যে কেবলমাত্র হৃত্কম্প নামক রোগ লক্ষণটিকে দূরীভূত করে তারা রোগীকে তৃপ্তি দান করেণ এবং নিজেরাও আত্মতৃপ্ত হন। কিন্তু কষ্টদায়ক রোগ লক্ষণটিকে দূর করলেও দেহের ভিতর সুপ্ত রোগবিষ বা এ্যান্টিজেনের দ্বারা দেহের মূল্যবান যন্ত্রগুলো ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। আমাদের এই রোগী দীর্ঘদিন যাবত প্রচলিত ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় চিকিত্সিত হয়েও হৃত্কম্প নামক রোগকষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন নি। তখন তিনি আমাদের চিকিত্সায় রোগবিষ মুক্ত হয়ে রোগকষ্ট থেকে মুক্তি পান। যে কারণে তিনি বর্তমানে ওষুধ সেবন ব্যাতিতই সুস্থ জীবন যাপন করছেন। তার এই সুস্থতার পিছনের প্রকৃত কারণটি বূঝতে হলে একমাত্র ইমিউনোমডুলেশন প্রক্রিয়া সস্বন্ধে জ্ঞানের প্রয়োজন।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস

রোগীর নাম : ফয়েজুল ইসলাম (আমেরিকার বাসিন্দা), বয়স : ৬৩ বছর।
রোগের বিবরণ : ডায়াবিটিস রোগীদের ভিতর এমন অবস্থা প্রায়ই দেখা যায়। রীতিমত ওষুধ সেবন,ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলেও কিছুতেই রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমাদের চিকিত্সায় অটোইমিউন জনিত ডায়াবিটিস রোগের চিকিত্সার দ্বারা সকল এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ বন্ধ করে দিয়ে রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যার দ্বারা ভবিষ্যতে ডায়াবিটিসজনিত কিডনি, লিভার, হার্ট, চোখ এবং স্নায়বিক যন্ত্রসমূহের ক্রমবর্ধমান ক্ষতিকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে রোগীরা ডায়াবিটিসজনিত রোগের জটিলতা থেকে মুক্ত দীর্ঘ জীবন লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন।


ডায়াবিটিস, হেপাটাইটিস, এ্যানিমিয়া

রোগীর নাম : বুলবুল চৌধুরী, বয়স : ৪৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : শরীরের অস্থিমজ্জাই হচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান উত্স আর অস্থিমজ্জার কাজ হচ্ছে শক্তিশালী এবং রোগ বিনাশকারী রক্ত উত্পাদন করা। রক্তের এই শক্তির অভাবই জন্ম দেয় সব ধরনের রোগের। আমাদের চিকিত্সায় প্রথমেই আমরা অস্থিমজ্জার শক্তি বৃদ্ধি করে সুস্থ ও সবল রক্ত কণিকা সৃষ্টি করিয়ে থাকি। যার ফলে বাকি কাজগুলো সহজ হয়ে যায় এবং একটির পর একটি রোগ নির্মূল হতে থাকে। এই রোগী অসুস্থ স্ত্রী এবং তিন পুত্র সহ আমাদের চিকিত্সায় আসেন এবং পরম ধৈর্য সহকারে চিকিত্সা নিয়ে বর্তমানে সপরিবারে সুস্থ জীবন যাপন করছেন।


এ্যালোপ্যাথির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস এবং ধমনীর ব্লক

রোগীর নাম : বিলকিস বানু, বয়স : ৫৯বছর, ঠিকানা : রংপুর।
রোগের বিবরণঃ প্রায় ২৫ বছর আগে আমাদের গবেষণার শুরু থেকেই তিনি আমাদের চিকিত্সাধীন ছিলেন এবং আমাদের একজন একনিষ্ট ভক্ত ছিলেন। কিন্তু ঢাকার বাইরে থাকার কারণে তিনি ডায়াবিটিস এবং উচ্চরক্তচাপের এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সা নিতে বাধ্য হন। অতি সমপ্রতি তিনি মসত্মিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রসত্ম হয়ে প্রায় পক্ষাঘাতগ্রসত্ম হয়ে পড়েন। এসময় আমাদের চিকিত্সা তার চলত্শক্তি ফিরিয়ে দিতে সমর্থ হয়। কিন্তু পাশাপাশি ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার কারণে তার ক্যারোটিড আর্টারী বা ঘাড়ের দু’পাশের ধমনীতে জমে যাওয়া রক্তের পিন্ড তাকে কতদিন সুস্থ রাখতে পারবে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা।


একিউট নেফ্রাইটিস (কিডনি প্রদাহ)

রোগীর নাম : ইশরাত, বয়স : ৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : হঠাত করে শিশুটির দুধের মত সাদা প্রসাব শুরু হলে পরীক্ষা করে প্রচুর এ্যালবুমেন ধরা পড়ে। এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে আমাদের চিকিত্সার দ্বারা সমস্যাটি এক সপ্তাহেই ভালো হয়ে যায়।


এ্যাপথাস আলসার বা মুখের দীর্ঘমেয়াদী ঘা এবং সর্বাঙ্গের একজিমা

রোগীর নাম আবদুল মতিন
রোগের বিবরণ : এ্যাপথাস আলসার একটি চিরস্থায়ী রোগ যা মূলতঃ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার জন্য সৃষ্টি হয়ে থাকে। নানাবিধ ছত্রাক বিনষ্টকারী ওষুধ এবং শেষে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে বিজ্ঞ চিকিত্সকেরা ব্যর্থ হয়ে যান এবং পরিনতিতে ক্ষতটি ক্যান্সার রোগ হিসাবে প্রকাশ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এই রোগীটিকে সুস্থ করতে আমাদের দীর্ঘ দুই বছর সময় লেগেছিল। বলাবাহুল্য যে, রোগীকে চা,পান এবং জর্দ্দা সেবনের অভ্যাস ত্যাগ করতে হয়েছিল। চিকিত্সার সময় রোগীর সর্বাঙ্গে একজিমা দেখা দেয় এবং দেহে বিদ্যমান জন্মগতভাবে প্রাপ্ত রোগবিষ বা এ্যান্টিজেনসমূহকে নিষ্কাষণের দ্বারা ইমিউন মডুলেশন প্রক্রিয়ার সাহায্যে আরোগ্য ক্রিয়াটি সম্পাদন করা হয়। নিশ্চিত ক্যান্সার রোগ প্রতিহত করার এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।


একজিমা

রোগীর নাম : জুলিয়া, বয়স : ৪৫ বছর, ঠিকানা : মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
রোগের বিবরণ : দীর্ঘদিন যাবত সব ধরনের চিকিত্সার পর আমাদের চিকিত্সায় তিনি আরোগ্যের পথে আছেন।


একনি ভালগারিস (ব্রণ)

রোগীর নাম : সুরাইয়া বেগম, বয়সঃ ৩৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগকে সবাই খুব সাধারণ বলে মনে করেন। কিন্তু আসলে এ রোগের কারণ ইমিউনোডিফিশিয়েন্সি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতা। এ রোগে রক্তশূণ্যতা, অত্যধিক মাসিকস্রাব, মাথাব্যথা, সাদাস্রাব ইত্যাদি রোগ ক্রমাগত জটিলতা সৃষ্টি করতে থাকে, যার পরিণতিতে ভবিষ্যতে মায়েদের সন্তানেরা অপুষ্টি জনিত জটিল রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসে। ঐ সব শিশুরা জীনগত সমস্যা যেমন- মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয় । কেবলমাত্র শিক্ষিত পিতামাতারাই উপরোক্ত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন এবং দীর্ঘদিন আমাদের চিকিত্সা নিয়ে সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা লাভ করে থাকেন।


কোল্ড এলার্জি, সাইনোসাইটিস, নখের একজিমা, লিভারের সমস্যা (কোষ্টকাঠিন্য)

নামঃ সাফিয়া বেগম, বয়স : ৪৫ বছর, ঠিকানাঃ বাংলামটর, ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এধরনের রোগী আমরা প্রায়ই চিকিত্সা করে থাকি এবং এসব রোগ আরোগ্য করা খুবই সহজ। কিন্তু এরোগীনীটির কেসহিষ্ট্রী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিত্সায় যখন রোগীনীর প্রতিটি রোগ ভালো হয়ে যেতে লাগল তখন শেষ পর্যায়ে রোগীনীর প্রচন্ড জ্বর শুরু হল। আমাদের চিকিত্সার উপর আস্থা হারিয়ে রোগীনীকে ওরাডেক্সন নামক স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে দ্রুত জ্বর ভালো করা হল। কিন্তু এতে রোগীনী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হল এবং রক্ত পরীক্ষায় প্রথমে টাইফয়েড এবং একই সাথে যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ল। ভীত হয়ে রোগীণী আমাদের কাছে ফিরে এলে আমাদের চিকিত্সায় তাকে সুস্থ করা হল। বিষয়টির ব্যাখ্যা হচ্ছে এই যে, প্রায় প্রতিটি রোগীর বেলায় যখন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জিবীত করে রোগসমূহকে আরোগ্য করা হয় তখন রোগীদের দেহে লুকিয়ে থেকে রোগলক্ষণ সৃষ্টিকারী রোগজীবানুগুলোকে রক্তপ্রবাহে নিয়ে এসে তাদেরকে ধবংস করা হয়। এসময় রোগীদের দেহে জ্বর দেখা দেয় যা জীবাণূ ধ্বংস করার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তখন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অকর্মন্য হয়ে পড়ে এবং আরো শক্তিশালী জীবাণূ দেহে প্রবেশ করে অথবা লুকানো অবস্থা থেকে বেরিয়ে রক্তের ভিতর আসে। সে সময় রক্ত পরীক্ষা করলে এমন ধরনের ভয়াবহ রোগজীবানুর অস্থিত্ব ধরা পড়ে । তখন ভীত হয়ে যদি এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তাহলে সঠিক আরোগ্য প্রক্রিয়াটি বিনষ্ট হয়ে রোগ আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। বিষয়টি বুঝিয়ে রোগীদেরকে ধরে রাখতে না পারলে সকল চিকিত্সাই ব্যর্থ হয়ে যায় ।


রক্তের কোলেষ্টেরল বৃদ্ধি এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাব

রোগীর নামঃ বিলকিস বেগম, বয়সঃ ৩৫ বছর, ঠিকানা : উত্তরা, ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ দীর্ঘদিন যাবত জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি সেবনের ফলে সৃষ্ট উপরোক্ত দুটি সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আমাদের চিকিত্সায় আসেন এবং সুফল পান।


মাসিক বিরতিজনিত সমস্যাবলী (পোষ্ট মেনোপজাল সিনড্রম)

রোগীর নাম : জাহেদা সুলতানা, বয়স : ৪৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : টিউমারজনিত রক্তপাতের কারণে জরায়ূটি অপারেশনের দ্বারা কেটে ফেলা হয়। এর পর থেকে উচ্চরক্তচাপ, সর্বাংগে জ্বালা, অস্থিসন্ধিতে বেদনা এবং মুখমন্ডলে লিভারের দোষজনিত কালোদাগ (মেচতা) ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি দেশে বিদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের চিকিত্সা নিয়ে ব্যর্থ হয়ে আমাদের চিকিত্সা গ্রহণ করেন এবং হরমন দ্বারা চিকিত্সা ছাড়াই একটি সুস্থ জীবন লাভ করেছেন।
জরায়ুর অপারেশনের পূর্বেই আমাদের চিকিত্সা পেলে রোগীনী আরো সুস্থ এবং সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারীনী হতে পারতেন। মাসিকের সময় অত্যধিক রক্তস্রাব সাধারনতঃ রক্তশূণতা কিংবা জরায়ুতে টিউমারের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে। তখন কারণটিকে দূর না করে প্রচলিত চিকিত্সায় জরায়ুটিকে কেটে বাদ দেওয়া হয়। ফলে দেহ অতি গুরুত্বপূর্ণ হরমন সৃষ্টিকারী একটি অঙ্গকে হারিয়ে ফেলে। এরপর সৃষ্ট সমস্যাগুলিকে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। এই জ্ঞানের অভাবেই সরলমতি মহিলাজাতি সনত্মান জন্মদানের প্রয়োজন মিটে গেলে জরায়ুটিকে একটি অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করেন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য অপারেশনের পথটি বেছে নেন। মৃতু্য পর্যনত্ম এর পরবর্তী যে দুর্ভোগে তারা ভুগতে থাকেন সে সম্বন্ধে তাদেরকে আগে থেকে সতর্ক করা হয় না। এই অভিশাপ থেকে স্ত্রী জাতিকে মুক্ত রাখতে পারে একমাত্র আমাদের চিকিত্সা যার জন্য প্রয়োজন মানবজাতিকে সঠিক চিকিত্সা সম্বন্ধে শিক্ষিত করে তোলা, অন্যথায় মানুষ প্রচলিত পদ্ধতির শিকার হতে থাকবে।



জন্মগতভাবে প্রাপ্ত এইচ এল এ জনিত রোগ প্রবণতা সীমিতকরণ

নাম : আবদুল হাফিজ, বয়স : ৭৮ বছর, ঠিকানা : বিটিভি, ঢাকা
রোগের বিবরণ : জন্ম থেকে দেহকে রোগ মুক্ত রাখতে পারলে বার্ধক্যেও যে যৌবনকে ধরে রাখা যায় তার একটি উদাহরণ হচ্ছেন এই ব্যক্তি, যাকে দেখলে বুঝা যায় না যে, তার প্রকৃত বয়স কত। হিউম্যান লিউকোসাইট এ্যান্টিজেন (এইচ এল এ) মানবদেহে রোগপ্রবণতা সৃষ্টি করে। যেমন- এইচ এল এ বি-২৭ থেকে জন্ম নেয় এ্যাংকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস, বি-৮, বি-১৫, ডি আর -৩ এবং ডি আর-৪ নামক চারটি এইচ এল এ’র জন্য জন্ম নেয় ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবিটিস। সময় থাকতে আমাদের চিকিত্সা নিলে ঐ সকল এইচ এল এ’র দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রবণতাকে প্রতিহত করা সম্ভব যা মানুষকে দীর্ঘদিন নিরোগ থাকতে সাহায্য করে।


রক্তশূণ্যতা জনিত দুর্বলতা, শ্বেতপ্রদর

রোগীর নাম : সোনিয়া, বয়স : ২২ বছর, ঠিকানা : ঢাকা। রোগের বিবরণ : চা এবং কফি সেবন লিভারকে দুর্বল করে ফেলে। সানস্ক্রীন জাতীয় রং ফর্সাকারী ক্রীম ব্যবহার করলে সূর্যরশ্মি বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে দেহে ক্যালসিয়াম কমে যায়। এ দুটি কারণে অস্থিমজ্জার দুর্বলতা বা বোনম্যারো ডিপ্রেশন ঘটে যা রক্তশূণ্যতার সৃষ্টি করে। এধরনের অপুষ্টির কারণে ক্রমাগত ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কিংবা হজমের গোলমাল এবং যৌবনে স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে নানাবিধ যৌন রোগ দেখা দেয়। ছেলেদের বেলায় অতিরিক্ত ধাতুক্ষয় এবং মেয়েদের বেলায় শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাব চলতে থাকে। যে বয়সে মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে থাকে, সেই বয়সে এহেন শক্তিক্ষয়কারী রোগ দেহকে আজীবনের জন্য রোগপ্রবণ করে ফেলে যার কোন চিকিত্সাই কোন চিকিত্সা বিজ্ঞানে নেই। এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সায় মেট্রোনিডাজল বা ফ্ল্যাজিলকে সাদাস্রাব বন্ধের জন্য সেবন করানো হয় যা কোষ্টবদ্ধতা সৃষ্টি করে এবং অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের মুখের ব্রণকে বৃদ্ধি করে দেয়। সেই ব্রণকে বেটনোভেট জাতীয় ক্রীমের সাহায্যে বন্ধ করা হলে দেহের অস্থিমজ্জা স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, যার নাম ইমিউনোসাপ্রেশন। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবিষ্যত বংশধরদিগকে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের হাত থেকে মুক্ত করতে গেলে যেধরনের মোটিভেশন বা উদ্বুদ্ধকরণের প্রয়োজন তা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।


পারোনিকিয়া (আঙ্গুলহারা/নখকুনি)

রোগীর নাম : কামরুননাহার, বয়সঃ ৩৫ বছর, ঠিকানা ঃ ঢাকা। রোগের বিবরণ ঃ এ রোগে নখের চারদিকে পেকে উঠে এবং খুব ব্যথা হয়। এ্যান্টিবায়োটিকে তেমন কোন সুফল হয় না। এ রোগের প্রচলিত হচ্ছে অস্ত্রপচার করে নখটি তুলে ফেলা কিন্তু নতুন নখ গজানোর পর রোগটি আবার ফিরে আসে । আমাদের চিকিত্সায় এ রোগের প্রবণতা চিরতরে দূর হয়ে যায়।


ফাইব্রোএ্যাডেনোমা (ব্রেষ্ট টিউমার), ফেলন (আঙ্গুল হারা), মাইগ্রেণ

রোগীর নাম : মমতা বেগম, বয়স : ৩৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা। রোগের বিবরণ : এ রোগীনির পিতা দীর্ঘদিন যক্ষ্মা রোগে ভুগেছিলেন। এর প্রভাবে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগতভাবে বোবা এবং কালা ছিল। এ মেয়েটি শৈশব থেকে কৃশকায়া ছিল এবং নানাবিধ জটিল রোগে ভূগছিল। পরিণত বয়সে তার মাতৃত্বজনিত দৈহিক বৃদ্ধি ছিলনা বললেই চলে। বিশেষতঃ একটি সন্তান জন্মের পর থেকে প্রথম বয়সে দেহে রক্তশূণ্যতা জনিত মাথাব্যথা বা মাইগ্রেণ, পরে আঙ্গুল হারা বা আঙ্গুলের অগ্রভাগের পচন এবং শেষে ব্রেষ্ট টিউমার এ রোগীনিকে বারবার জটিল সমস্যায় ফেলেছিল। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর আমাদের চিকিত্সাধীন থাকার ফলে রোগীনি শল্য চিকিত্সার হাত থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছেন, যা তাকে দিয়েছে একটি নিরোগ শরীর।


ক্রমাগত জ্বর (পি ইউ ও) এবং অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা

রোগীর নাম : রেখা বেগম, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা। রোগের বিবরণ : ক্রমাগত হালকা জ্বর থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না যা তাকে কৃশকায়া করে ফেলেছিল। সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ মেয়েলি রোগ যথা- শ্বেতপ্রদর, কোষ্টবদ্ধতা, মাইগ্রেণ, অরুচিতে ভুগে মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের চিকিত্সায় রীতিমত নজরকাড়া স্বাস্থ্য ফিরে পেয়েছিলেন। বংশগতভাবে প্রাপ্ত যক্ষ্মা রোগই তার সকল সমস্যার মূল কারণ ছিল। এমনি শত শত মহিলা এবং পুরুষ আজীবন জিনগতভাবে প্রাপ্ত রোগে ভুগছেন এবং শক্তিশালি ওষুধ সেবন করে ধীরে ধীরে অকাল মৃতু্যর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


ব্রেইনস্ট্রোকজনিত অর্ধাংগের পক্ষাঘাত, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিবাত

রোগীর নাম : আহমেদ হোসেন, বয়স : ৬০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা। রোগের বিবরণ : তিনি আজীবন এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সার ভক্ত ছিলেন। হঠাত করে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে তার মুখের একপাশ অবশ হয়ে যায় এবং কথাবার্তা জড়িয়ে যেতে থাকে। আমাদের চিকিত্সায় তিনি এই রোগ থেকে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি বাতব্যথা এবং কিডনির সমস্যার জন্য আমাদের চিকিত্সা নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


কেলয়েড (স্কার টিসু)

রোগীর নাম : সুমন, বয়স : ২৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা। রোগের বিবরণঃ দেহে জন্মগতভাবে প্রাপ্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল থাকলে যেকোন ক্ষত একটি টিউমারের আকার ধারন করতে পারে যা কোন চিকিত্সাতেই ভালো হতে চায় না, বরং ত্বকের উপর ছড়িয়ে যেতে থাকে। এই রোগটি চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশনের দ্বারা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্ঠা করলে রোগটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। ইমিউনোডিফিশিয়েন্সির এহেন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রোগীদেরকে একমাত্র আমরাই পেরেছি উদ্ধার করতে ।


আশৈশব এপিলেপ্সি (মৃগী)

রোগীর নাম : নাজমা, বয়স : ২৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : দীর্ঘদিন যাবত টেগ্রেটল জাতীয় এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবনের ফলে এধরনের রোগী প্রায় প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে । সেই অচল অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে আমাদের চিকিত্সা। যার একটি সুন্দর উদাহরণ আমাদের এই রোগীনী।


গ্যাস্ট্রিক আলসার

রোগীর নাম : আলমগীর, বয়সঃ ২৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : যৌবনের প্রারম্ভে যে কয়েকটি রোগ ছেলেদেরকে ক্রমাগত অসুস্থ করে রাখে সেগুলো হচ্ছে হজমের গোলমাল, স্বপ্নদোষ এবং ঠান্ডজ্বর । যতই এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করা হোক না কেন, এ রোগগুলো একটা বয়স পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ঘুরে ফিরে আসতেই থাকে এবং রোগীদেরকে অপুষ্টি এবং রক্তশূণ্যতার দিকে ঠেলে দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পঙ্গু করে দিয়ে যায়। কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে অসংখ্য মানুষ একটি বিষাদময় জীবন যাপন করে থাকে। এর পিছনে দেহে বিদ্যমান যে সব জন্মগতভাবে প্রাপ্ত রোগবিষ দায়ী থাকে সেগুলোকে দূর করতে গেলে প্রায়ই দেহে চর্ম রোগ দেখা দেয়। আমাদের সঠিক চিকিত্সা এই চর্ম রোগের মাধ্যমে দেহকে বিষমুক্ত করে রোগমুক্ত করে থাকে। এই আরোগ্যের প্রক্রিয়ায় প্রকাশমান লক্ষণগুলোতে হাইপারসেন্সিটিভিটি, সাইটোটক্সিসিটি, ইমিউন ডিফিশিয়েন্সি এবং অটোইমিউনিটি জাতীয় রোগের চিত্রসমূহ ফুটে উঠে, যা রোগীদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। কারণ আপাতদৃষ্টিতে সামান্য রোগ বলে বিবেচিত রোগসমূহের পিছনে সুপ্ত যেসব জটিল কারণ থাকে সে সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞানের অভাব আমাদিগকে প্রতারিত করে থাকে। তাই আরোগ্যের সময় প্রকাশিত জটিল লক্ষণগুলো রোগীদেরকে বিচলিত করে আমাদের চিকিত্সা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় পর সেই সব রোগী জটিল রোগ নিয়ে আমাদের চিকিত্সাতেই ফিরে আসে। ততদিনে তারা টনসিল, এপেনডিক্স ইত্যাদি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ শল্য চিকিত্সার কবলে পড়ে হারিয়ে আসে যার অভাব আমাদের চিকিত্সার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ এবং অনেক সময় প্রায় অসম্ভব করে তোলে ।


গ্যাস্ট্রিক আলসার

রোগীর নামঃ মুসতাফিজুর রহমান, বয়স : ৫৫ বছর, ঠিকানা : সিঙ্গাপুর।
রোগের বিবরণ : বহুবিধ ওষুধ সেবনের পর আমাদের চিকিত্সায় স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করেন।


গ্যাস্ট্রিক এবং বাত জনিত সমস্যা

রোগীর নাম : নূরু মিয়া, বয়স : ৫৫ বছর, ঠিকানাঃ ঢাকা।
রোগের বিবরণ : আজীবন সুস্থ থাকার পর মধ্য বয়স থেকে ক্রমাগত এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করে একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় এসে পৌছেছিলেন। আমাদের চিকিত্সা তাকে সেই হতাশাব্যাঞ্জক অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছে।


মাইগ্রেণ (দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা)

রোগীর নাম : মেহেদি সোবহানি-বাবু বয়সঃ ৩২ বছর ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ দীর্ঘ তিন বছর যাবত পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে ভারতের ভেলোরে চিকিত্সায় সুফল না পেয়ে এই রোগী আমাদের চিকিত্সায় মাত্র ৩ মাসে সুস্থ হন। এই চিকিত্সার ফলে তার পায়ের একজিমা থেকে রসক্ষরণ হতে থাকে এবং সেই একজিমা ভালো হতে প্রায় সাত মাস সময় লাগে। এধরনের মাথাব্যথার পিছনে বংশগত যক্ষ্মা রোগের ইতিহাস জানতে পারা যায়। ডাক্তারী পরীক্ষায় যার কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় না। পরীক্ষায় কেবলমাত্র মৃদু জ্বর ধরা পড়ে। প্রায় প্রতিটি মাইগ্রেণ রোগীর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি দেখা যায়, যাকে আমরা সুপ্ত মসত্মিষ্কের যক্ষ্মা রোগ বলে চিহ্নিত করে থাকি। আমাদের চিকিত্সায় প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।


মাইগ্রেণ এবং কোষ্ঠবদ্ধতা

রোগীর নাম : আবদুস সামাদ, বয়স : ২৭ বছর, ঠিকানা : নওগাঁ।
রোগের বিবরণ : ছাত্র জীবনে দীর্ঘদিন মাথাব্যথায় ভোগার পর আমাদের চিকিত্সায় সম্পূর্ণভাবে নিরাময় লাভ করেন, এর পাশাপাশি তার দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠবদ্ধতা থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন। কোষ্ঠবদ্ধতার কারণে দেহের বর্জ্য নিঃসরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রসত্ম হয়ে এমনি অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি হয় যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রদত্ত সর্বাঙ্গীন চিকিত্সাই একমাত্র উপায়।


মাইগ্রেণ বা জটিল শিরঃপীড়া

রোগীর নাম : মোশাররফ হোসেন, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : বরিশাল।
রোগের বিবরণ : আপাত দৃষ্টিতে মাইগ্রেণকে অতি সাধারণ একটি রোগ বলে বিবেচনা করা হয়। কিনত্মু এ রোগটি শতশত মানুষের জীবনকে পঙ্গু করে ফেলে যার একটি উদাহরণ এই রোগীটি । এই রোগীর দীর্ঘমেয়াধী শিরঃপীড়া আমাদের চিকিত্সায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছে এবং আর কখনো ফিরে আসেনি। কিন্তু তার দুই পায়ে একজিমা দেখা দিয়েছে যেখান থেকে ক্রমাগত রসক্ষরণ হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত। এটাকে বন্ধ করতে গেলেই মাথাব্যথার লক্ষণটি ফিরে আসতে চায়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শুধু মাইগ্রেণ নয়, প্রায় প্রতিটি জটিল রোগের বেলায় এধরনের বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ ব্যাতিত দেহকে বিষমুক্ত তথা রোগমুক্ত করা যায় না।


কোন্ড এ্যালার্জি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস এবং একজিমা

রোগীর নাম : আসাদুজ জামান, বয়স : ৫০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগীর ক্ষেত্রে ডায়াবিটিসের চিকিত্সা করার ফলে রোগীর দেহে একজিমা দেখা দেয়। যার ফলে রোগীর বার মাস লেগে থাকা ঠান্ডার প্রবণতা কমে যায় দেখে রোগীর মনে আস্থা জন্মে। চিকিত্সা চালিয়ে যাওয়ার পর রোগীর রক্তের সুগার এবং উচ্চরক্তচাপ কমে আসে। রোগী একজন ধুমপায়ী বিধায় রোগীর আরোগ্য দ্রুতগতিতে হচ্ছে না বলে আমাদের ধারণা। তবুও রোগী শারীরিকভাবে পূর্বের চাইতে অধিক সুস্থতা উপলব্ধি করায় চিকিত্সা চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে তার পায়ে তীব্রভাবে বেরিয়ে আসা একজিমাটি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, যা আমাদের চিকিত্সায় দেহের বিষমুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ারই একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ।


সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস(এস এল ই)

রোগীর নাম : রানু কামাল, বয়স : ৪০ বছর, ঠিকানা : কানাডা।
রোগের বিবরণ : ১৯৮৫ সালে সৌদিআরবে থাকার সময় রোগীনির উপরোক্ত রোগ ধরা পড়ে। শুরু থেকেই এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সা অনুযায়ী প্রেডনিসোলন ইনজেকশন এবং পরে টেবলেট দিয়ে চিকিত্সা চলতে থাকে। ১৯৯১ সালে রোগীনি আমাদের চিকিত্সায় আসেন। একবছর চিকিত্সার পর তার বাম স্তনে ফোঁড়া হয় এবং প্রচুর পুঁজ এবং রক্তক্ষরণ হয়। এভাবে তিন বছর আমাদের চিকিত্সা চলে এবং রক্ত পরীক্ষায় এস, এল, ই রোগের টেষ্ট এ, এন, এ বা এ্যান্টি নিউকিয়ার এ্যান্টিবডি নেগেটিভ হয়ে যায়। রোগীনিকে এস, এল, ই রোগ থেকে মুক্ত ঘোষনা করা হয়। বর্তমানে রোগীনি কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, মাইগ্রেণ, পাইলস্, ফিশ্চুলা

রোগীর নাম : সুরাইয়া মাওলা, বয়স : ৪৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : ডায়াবিটিস রোগ কোনদিনই সেরে যায় না। কিন্তু এ্যালোপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে দেহের অনেক যন্ত্র ক্ষতিগ্রসত্ম হয়ে থাকে। আমাদের চিকিত্সায় তেমনটি হয় না। ক্রমাগত ওষুধ সেবনের দ্বারা তার পাইলস্ এবং ফিশ্চুলা রোগ দু’টি ভালো হওয়ার পর ডায়াবিটিসের তীব্রতা কমতে শুরু করে। বর্তমানে কমে যাওয়া ডায়াবিটিস নিয়ে তিনি আগের চেয়ে বরং সবদিক দিয়ে ভালো আছেন। কিন্তু তিনি চা পানের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন নি বলে প্রকৃত উপকার পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, কিডনি প্রদেশে বেদনা, মেরুদন্ডে বেদনা

রোগীর নাম : আবদুল মান্নান, বয়স : ৩৫বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : প্রথমদিকে এই রোগী এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সা শুরু করেন। পরে কিডনি প্রদেশে এবং মেরুদন্ডে ব্যথা শুরু হলে তিনি আমাদের চিকিত্সায় আসেন। বর্তমানে তিনি দুই পদ্ধতিতেই চিকিত্সা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সবদিকেই ভালো আছেন।


অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস

রোগীর নাম : নুরুন্নাহার বেগম, বয়স : ৫৮ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিয়মিত সেবন করেও রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলনা বরং মেটফরমিন ৮৫০মি.গ্রা দৈনিক তিনবার সেবনের ফলে পেটের অসূখ এবং জ্বর ভাব ক্রমাগত রোগীকে মৃতু্যর দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। এমনি সময় সব ওষুধ বন্ধ করে শুধু আমাদের চিকিত্সাতে রোগীনি হারানো স্বাস্থ্য ফিরে পেয়েছেন।


জুভেনাইল ডায়াবিটিস এবং ইনফাটর্াইলিটি (কিশোর বয়সের ডায়াবিটিস এবং দীর্ঘদিন সনত্মান জন্মদানের অক্ষমতা)

রোগীর নাম : আবদুল ওয়াদুদ, বয়স : ৪৫বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : শৈশব থেকে ডায়াবিটিস রোগকে চিকিত্সা দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলনা। এমন সময় আমাদের চিকিত্সায় ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তার সনত্মান জন্মদানের ক্ষমতা ফিরে আসে। চৌদ্দ বছর নিঃসনত্মান থাকার পর তিনটি সনত্মানের জনক হন এবং দ্বিতীয় আর একটি বিবাহ করে সুখী জীবন যাপন করছেন।


রেনাল স্টোন (কিডনির পাথর)

রোগীর নাম : আবদুল জব্বার, বয়স : ৫৫ বছর, ঠিকানা : কিশোরগঞ্জ।
রোগের বিবরণ : কিডনির পাথরজনিত ব্যথায় বহুদিন ভোগার পর আমাদের চিকিত্সায় আরোগ্য লাভ করেছেন। বারবার ফিরে আসা কিডনির পাথরজনিত রোগ থেকে চিরতরে আরোগ্য লাভ করেছেন। এর পাশাপাশি শরীরের যাবতীয় রোগেরও অবসান ঘটেছে।


রেনাল স্টোন (কিডনিতে পাথর)

রোগীর নাম : শামীম আহমেদ (আমেরিকার বাসিন্দা), বয়স : ৩২বছর, ঠিকানা : আমেরিকা
রোগের বিবরণ : দীর্ঘদিন যাবত পিঠের বামদিকে ব্যথা চলছিল। পরীক্ষায় কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি সম্পর্ণ রোগমুক্ত আছেন।


এ্যাজমা এবং কোল্ড এ্যালার্জি

রোগীর নাম : আবুল কাশেম
রোগের বিবরণ : যে সব এ্যাজমা বা হাপানীর রোগী আজীবন টেবলেট সেবন করে এবং ইনহেলার ব্যবহার করে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন তারা জীবনেও ভাবতে পারেন না যে, এই রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া কত আরামদায়ক ব্যাপার যদি আমরা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সমর্থ হই। দেহের রসগত, কোষগত এবং মজ্জাগত এই তিনটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান দুর্বল রোগপ্রতিরোধ বাহিনীকে বহিরাগত বিষাক্ত উপাদানসমূহকে ধবংস করার উপযোগী করে তুলতে গেলে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সার পাশাপাশি আমাদের চিকিত্সা চালিয়ে যেতে হয়। অন্যথায় রোগীরা রোগকষ্ট সহ্য করতে না পেরে এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সায় ফিরে যান এবং আমাদের মঙ্গলকর চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত হন।


ইমিউন ডিফিশিয়েন্সি (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব)

রোগীর নাম : আবুল হাসেম
রোগের বিবরণ : সচরাচর এমন অসংখ্য রোগী আমাদের চিকিত্সায় আসেন এবং ভালো হয়ে যান। একবার এই চিকিত্সায় সুস্থ হওয়ার পর ক্রমাগত রোগে ভোগা এবং ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন পড়ে না। এর ফলে রোগীর সর্বাঙ্গীন উন্নতি শেষ জীবন পর্যনত্ম চলতেই থাকে। প্রসংগতঃ উল্লেখ্য যে, এসব রোগ আপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ এবং সাময়িক কারণে সৃষ্ট বলে মনে হলেও এদের পিছনে লুকিয়ে থাকে জটিল সব রোগ যারা যৌবন বয়সে রোগের প্রবণতা সৃষ্টি করে, তখন যদি প্রচলিত চিকিত্সা দ্বারা ক্রমাগত ওষুধ প্রয়োগ করে দেহকে রোগমুক্ত রাখা হয় তাহলে বয়স বাড়ার পর জটিল রোগগুলো তীব্রভাবে আক্রমণ করতে শুরু করে । তখন আর সহজে ঐ সকল জটিল রোগকে আরোগ্য করা যায় না। জীবনের শুরু থেকেই যদি আমরা আমাদের চিকিত্সা দ্বারা দেহকে রোগবিষ থেকে মুক্ত করে রোগমুক্ত রাখি তাহলে দেহের গভীরে রোগের তীব্রতা বাড়ার সুযোগ থাকে না । এর দ্বারা যে শুধু দেহ রোগমুক্ত থাকে তাই নয় বরং মানুষের আয়ুস্কাল বৃদ্ধি পায়, যার জন্য চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা হরমন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেন, যার দ্বারা দেহে নানাবিধ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং জটিলতর রোগের আক্রমণ ঘটে।


কোন্ড এ্যালার্জি , আই বি এস এবং স্নায়বিক দুর্বলতা

রোগীর নাম : কামরুদ্দীন, বয়স ঃ ৩৫ বছর, ঠিকানা ঃ ঢাকা।
রোগের বিবরণ ঃ জন্ম থেকে বার্ধক্য পর্যনত্ম ক্রমবর্ধমান যেসকল রোগ ধারাবাহিকভাবে দেখা দেয় যেমন- জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কাশি, মাথাব্যথা, হজমের গোলমাল ইত্যাদি রোগগুলোকে প্রথম জীবনে সঠিকভাবে চিকিত্সা না করে এ্যালোপ্যাথিক চিকিত্সা দ্বারা জোরপূর্বক চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে দেহে সুপ্ত রোগবিষগুলো দেহের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলোকে ক্ষতিগ্রসত্ম করতে থাকে। এর পরিণতিতে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি জটিল রোগগুলো যখন আক্রমণ করে তখন আর ক্ষতিগ্রস্ত দেহ যন্ত্রগুলোকে বিষমুক্ত করে পূর্বের সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। দেহের এহেন ক্ষতিগ্রসত্ম অবস্থাকে ইররিভার্সিবল ড্যামেজ বা ফেরানো যায় না এমন ক্ষতি বলা হয়। রিভার্সিবল বা ফেরানো যায় এমন অবস্থায় থাকতেই যদি দেহের রোগপ্রতিরোধ শক্তিকে মডুলেট বা পরিচালিত করে জন্মগতভাবে প্রাপ্ত রোগপ্রবণতাকে কমিয়ে রাখা যায় তাহলে দেহের সুস্থ অবস্থাকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। যখন রোগীদের নিকট প্রথম জীবনের দুঃসহ রোগকষ্টসমূহের স্মৃতি শুধুমাত্র স্বপ্নের মতে মনে হয়। আমাদের এই রোগী এমনি একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি, যার একনিষ্টভাবে লেগে থাকাই আমাদিগকে সাহায্য করেছে তাকে রোগমুক্ত করে তুলতে।


কোল্ড এ্যালার্জি এবং একজিমা

রোগীর নাম : আমিনুল ইসলাম, বয়স : ৬২ বছর, ঠিকানা : পাবনা।
রোগের বিবরণ : বাংলামটরে অবস্থিত জহুরা মার্কেটে ৩৩নং রুমের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আজীবন ছিলেন শীতকাতর তাই গোসল করতে ভয় পেতেন। হাতের আঙ্গুলের ত্বক ফেটে যেত একজিমার কারণে। ১২মাস ভেসলিন মাখতে হত। একজিমার চিকিত্সার জন্য তিনি আমাদের শরণাপন্ন হন। চিকিত্সায় একজিমা এবং শীতকাতরতা দুটোই ভালো হয়ে যায়, আজীবন রোগে ভোগার পর।


কোল্ড এ্যালার্জি, গ্যাষ্ট্রিক আলসার

রোগীর নাম : আজম আলী, বয়স : ৪৫ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : একটুতেই ঠান্ডা লাগা এবং বার মাস পেটে জ্বালা যন্ত্রণা থেকে ইনি আজীবন কষ্ট পেয়েছেন এবং ক্রমাগত ওষুধ সেবন করে চলেছেন। ওমিপ্রাজল জাতীয় গ্যাস্ট্রিক আলসারের ওষুধ হচ্ছে হিস্টামাইন-২ চ্যানেল ব্লকার। এর ক্রমাগত ব্যবহার দেহের হরমনের ক্রিয়াকে বাধাগ্রসত্ম করে অত্যনত্ম ধীর গতিতে নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করে। ওষুধের এই প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তাই এ্যালোপ্যাথির সঙ্গে তার ছিল অগাধ হৃদ্যতা। তার একমাত্র ছেলের মাথার তীব্র যন্ত্রণাকে এবং তার মায়ের লিভারের হেপাটাইটিসজনিত সমস্যাকে যখন এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সার দ্বারা সুস্থ করা গেল না তখন তিনি আমাদের দ্বারস্থ হলেন এবং তাদেরকে সুস্থ করে তুললেন। এরপর থেকে তিনি আমাদের উপর আস্থাশীল হয়ে পড়েন এবং ধীরে ধীরে নিজে চিকিত্সা নিয়ে সুস্থ হতে লাগলেন।


কোল্ড এ্যালার্জি এবং হজমের গোলমাল

রোগীর নাম : তুহিন, বয়স : ২বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে মায়ের বুকের দুধ পান করে। তাই শিশুকে যে কোন রোগ থেকে মুক্ত করতে হলে শিশুর পাশাপাশি শিশুর মাকেও আমাদের ওষুধ সেবন করানো আবশ্যক। এর ফলে যেমন মা ও শিশু রোগমুক্ত হন তেমনি ভবিষ্যত বংশধরগণও সুস্থ ও সবল স্বাস্থ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে। বিগত ২৫ বছর যাবত এ কাজটি আমরা সন্তানধারন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি মায়ের বেলায় করে আসছি, যা আমাদের রোগমুক্ত মানবজাতি তৈরীর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার একটি প্রধান অংগ।


পর্যায়ক্রমিক কোল্ড এ্যালার্জি এবং আই বি এস বা পেটের গোলমাল

রোগীর নামঃ এমদাদুল হক, বয়সঃ ৩৫ বছর, ঠিকানা ঃ ঢাকা ।
রোগের বিবরণঃ উপরোক্ত দুটি রোগ একটির পর একটি বারবার লেগে থাকে এমন অসংখ্য রোগী আমাদের চিকিত্সায় আসেন। গতানুগতিক চিকিত্সা নিয়ে তারা শরীরের যন্ত্রগুলিকে ক্রমাগত দুর্বল করে ফেলেন, যা তাদেরকে অকাল মৃতু্যর দিকে নিয়ে যায়। আজন্ম রুগ্ন বিষাদময় জীবনকে তারা স্রষ্টাপ্রদত্ত অভিশাপ বলে মনে করেন। আসলে এ রোগটি যে ইমিউনোডিফিশিয়েন্সি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতাজনিত কারণে সৃষ্ট একথাটি বুঝতে এবং বিশ্বাস করতে তাদেরকে দীর্ঘদিন আমাদের চিকিত্সা নিতে হয়েছে ।


কোল্ড এ্যালার্জি, আই বি এস (হজমের গোলমাল)

রোগীর নাম : শহিদুজ জামান, বয়সঃ ৩০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : এই রোগী আমাদের কাছে এসেছিল মাথার কেশপতন বন্ধ করার জন্য। আমাদের চিকিত্সায় তার দেহের অন্যান্য সব সমস্যা দূর হয়ে যায়। কিন্তু কেশপতন রোধ করা সম্ভব হলেও নতুন করে চুল গজানো সম্ভব হয়নি। তবে রোগীর মা এবং স্ত্রী আমাদের চিকিত্সায় উপকার পেয়েছেন এবং জটিল সব সমস্যা থেকে মুক্ত আছেন। এভাবে আমরা প্রায় প্রতিটি রোগীর গোটা পরিবারকে আমাদের চিকিত্সার আওতায় নিয়ে আসি এবং প্রায় আজীবন সবাইকে রোগমুক্ত করে তুলি।


ইরিটেবল বাওয়েলস সিনড্রম (আই বি এস) বা ক্রমাগত হজমের গোলমাল

রোগীর নাম : কামাল উদ্দীন
রোগের বিবরণ : আমাদের দেশে এই রোগটি ব্যাপকভাবে দেখা যায়। স্বাস্থ্যরক্ষার সব নিয়মকানুন মেনেও এই রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। আমাদের চিকিত্সায় পুষ্টিহীনতা দূর করার জন্য একটু বেশী সময় লাগলেও সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে চা এবং ধুমপান থেকে বিরত না রাখতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা থাকেনা বললেই চলে।


কোন্ড এ্যালার্জি , আই বি এস এবং স্নায়বিক দুর্বলতা

রোগীর নাম : সওদাগর, বয়স : ৪০বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃঙ্খলা থাকলে হজমের গোলমাল সৃষ্টি হয়। এমনি শতশত রোগীকে আমরা সুস্থ করে তুলেছি যারা ক্রমাগত গ্যাস্ট্রিক আলসারের ওষুধ খেয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন। ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধের আরেক নাম হিস্টামাইন-২ চ্যানেল ব্লকার। এধরনের ওষুধ ক্রমাগত সেবন করলে দেহের বিভিন্ন হরমন জাতীয় প্রক্রিয়া বাধাগ্রসস্ত হয়। যার ফলে পরিনামে যৌন দুর্বলতা জাতীয় সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এমনি অবস্থার শিকার হয়ে স্ত্রীকে হারিয়ে এই রোগী আমাদের চিকিত্সায় সুস্থ হন এবং আবার সংসার জীবনে ফিরে আসেন।


এ্যাজমা, হজমের গোলমাল (আই, বি, এস)

রোগীর নামঃ ফিরোজ শাহ্, বয়স : ৫৫ বছর, ঠিকানাঃ আরিজোনা, ইউ, এস, এ।
রোগের বিবরণ : বংশগতভাবে প্রাপ্ত রোগগুলো নিয়ে আজীবন ভুগছিলেন ইনি। আমাদের চিকিত্সায় বেশ অনেক দিন ওষুধ সেবনের পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। বর্তমানে ইচ্ছামত দেশে বিদেশে চলাফেরা করছেন বিনা কষ্টে। ইনি আমাদের চিকিত্সা পদ্ধতির একজন সমঝদার এবং পৃষ্ঠপোষক।


আই, বি, এস (হজমের গোলমাল)

রোগীর নাম : রহমত আলী, বয়স : ৯০ বছর, ঠিকানা : ঢাকা।
রোগের বিবরণ : আমাদের গবেষণার প্রথম থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই মুক্তিযোদ্ধা আমাদের চিকিত্সা নিয়ে আজও অটুট স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে আছেন। একমাত্র হজমের গোলমালই তাকে কালেভদ্রে সমস্যায় ফেলে দিত। আমাদের চিকিত্সা সেবাকে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য তিনি অত্যস্ত আন্তরীকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।


আই বি এস (হজমের গোলমাল)

রোগীর নাম ঃ আখিরুজ্জামান, বয়স ঃ ৪০ বছর, ঠিকানা ঃ ঢাকা।
রোগের বিবরণঃ হাঁপানিজনিত শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত পেটের গোলমাল, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা, মলদ্বারে ফিশার বা ফেটে যাওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা, মাড়ী দিয়ে রক্ত পড়া, উচ্চরক্তচাপ, পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা ইত্যাদি রোগগুলো ফিশ্চুলা বা মলদ্বারের নালী ঘা অপারেশনের পর থেকেই বেড়ে গিয়েছিল। চিকিত্সকেরা তাকে সব ওষুধের পাশাপাশি মানসিক রোগের ওষুধ দিচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় আমাদের চিকিত্সা তাকে রোগমুক্ত করে নতুন জীবন ফিরে পেতে সাহায্য করেছিল।


4 comments on “More Case History………..

  1. আপনাদের রোগের চিকিৎসা অনেক ভাল কিন্তু আমি একজন জটিল রোগী আমার প্রস্টেট সমস্যা আছে তাই আপনাদের কাছে চিকিৎসা নিতে চাই কিভাবে যোগাযোগ করব?

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান