কৃতজ্ঞতা স্বীকার

ডাঃ জুলস্ টি ফ্রয়েন্ড ১৯৪২ সালে বিবিধ রাসায়নিক পদার্থ এবং জীবাণূর মৃতদেহ মিশ্রিত করে জন্তুর দেহে ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন যা জুলস্ এ্যাডজুভ্যান্ট বা উদ্দীপক নামে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু তার এই আবিষ্কার ইনজেকশনের দ্বারা মানবদেহে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তার ঐ আবিষ্কার সকল প্রাচীন চিকিতসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিষাক্ত উপাদানের মৌখিক প্রয়োগ দ্বারা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উত্তেজিত করার প্রচলিত পদ্ধতির একটি বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা প্রদান করতে সাহায্য করে। ইমিউনোলজির জ্ঞানের অভাবে এযাবত কাল বিবিধ ভেষজ বিষাক্ত উপাদানের দ্বারা আরোগ্যের প্রক্রিয়াকে জীবাণূনাশক হিসাবে বিবেচিত করা হত। প্রায় ২০ বছর যাবত ফ্রয়েন্ডের এ্যাডজুভেন্ট নিয়ে গবেষণা চলার পর বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন।


ডাঃ ওথোন আঁদ্রে জুলিয়ান (১৯১০-১৯৮৪) ফ্রান্সের প্রথম গবেষক যিনি হোমিওপ্যাথির সঙ্গে ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের সামঞ্জস্য উপলব্ধি করেন এবং হোমিওপ্যাথিকে ডায়ানামাইজড মাইক্রো ইমিউনোথেরাপি নামে অভিহিত করেন। সম্ভবতঃ বিজ্ঞানী জুলস্ টি ফ্রয়েন্ড এর গবেষণার দ্বারা তিনি প্রভাবিত হন। বিজ্ঞানী ফ্রয়েন্ডের পরিত্যাক্ত পদ্ধতিকে প্রাচীন চিকিতসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মুখে খাওয়ানোর পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত করে বিজ্ঞানী জুলিয়ান এমন একটি মহান কাজ সম্পাদন করে গিয়েছেন যার অভাবে হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন পদ্ধতি হয়ত কোন দিন বাস্তবতা লাভ করত না।


আমরা নাজরান জেনারেল হাসপাতাল, সৌদি আরব এর প্রাক্তন পরিচালক মরহুম আলহাজ্জ ডাঃ শেখ মোঃ মোজাম্মেল হক এম বি বি এস, সাহেবকে কৃতজ্ঞতা জানাই যিনি ত্রিশ বছর যাবত এই গবেষণা কার্যক্রমকে নৈতিক এবং আর্থিকভাবে সহায়তা দান করে গিয়েছেন, যার অনুপ্রেরণা এবং আর্থিক অনুদান ব্যতীত দেশে এবং বিদেশে এই ব্যয়বহুল গবেষণা কার্যক্রমকে পরিচালনা করে সাফল্য লাভ করা অসম্ভব হত।


এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান