প্রবন্ধ

দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশে।

 

বাংলাদেশী একজন গবেষক ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির সমন্বয় ঘটিয়ে এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছেন। যার দ্বারা তিনি প্রায় সকল প্রকার আরোগ্য অসম্ভব রোগকে আরোগ্য করতে সমর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি একদিন সমগ্র বিশ্বের স্বাস্থ্য সেবায় নতুন এক মাত্রার সংযোজন করবে, যার দ্বারা মানুষ থাকবে আজীবন রোগমুক্ত। ১৯৪২ সালে বিজ্ঞানী জুলস টি ফ্রয়েন্ড নামে আমেরিকার একজন অণুজীব বিজ্ঞানী কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে জীবাণুর মৃত দেহকে মিশিয়ে জন্তুর দেহে ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করে ক্যান্সারজনিত টিউমার আরোগ্য করেন। তার এই গবেষণালব্ধ প্রক্রিয়া মানুষের বেলায় ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারণ মানব দেহে ঐসকল বিজাতীয় পদার্থকে ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করলে মাংশপেশীতে পচন ধরে যায়। দীর্ঘ ২০ বছর গবেষণার পর বিজ্ঞানী ফ্রয়েন্ডের পদ্ধতিটি মানবদেহে প্রয়োগের অযোগ্য বলে পরিত্যক্ত হয়। এরপর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করার জন্য সাইটোকাইন নামক উপাদান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার পর কিছু জটিলতার কারণে যা সম্পূর্ণ সাফল্য লাভ করতে ব্যর্থ হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই ব্যর্থতা ক্যান্সারসহ জটিল সব রোগের চিকিৎসায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গৃহীত পদ্ধতি কোন রোগকেই নির্মূল করতে সক্ষম হচ্ছে না। বরং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে দূর্বল করে রেখে রোগের তীব্রতাকে ক্রমাগত বাড়িয়েই চলেছে, যা মানুষকে অকাল মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই প্রতিবন্ধকতাকে লক্ষ্য করেন বাংলাদেশী একজন গবেষক। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিদ্যার অগ্রগতির উপর পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। ফ্রান্সের হোমিওপ্যাথি ও ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের গবেষক ডাঃ ও,এ, জুলিয়ানের পদাঙ্ক অণুসরনকারী এই গবেষক মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানী ডাঃ অব্রে ডি গ্রে কর্তৃক পরিচালিত এ্যান্টি এ্যাজিং নিয়ে গবেষণারও একজন একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। বিজ্ঞানী ফ্রয়েন্ডের আবিষ্কারকে অবলম্বন করে উক্ত বাংলাদেশী গবেষক মানুষের দেহে উপরোক্ত উপাদানগুলোকে প্রয়োগ করার পথ খুঁজতে থাকেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথিতে ডাঃ ফ্রয়েন্ড কর্তৃক ব্যবহৃত ঐসকল বিজাতীয় পদার্থগুলোকে ইনজেকশনের পরিবর্তে যুগ যুগ ধরে মুখে খাইয়ে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, যার দ্বারা বিভিন্ন রোগকে আরোগ্য করা সম্ভব হয়েছে, অথচ এর ফলে ইনজেকশনের মতো কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নি। কিন্তু উপরোক্ত তিনটি শাস্ত্রের উদ্ভাবক গবেষকগণ বিষে বিষ নাশ, বায়ু পিত্ত কফের মতবাদ এবং সমবিধানের মতবাদ দ্বারা আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের গবেষক ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিদ্যার আলোকে এই তিন মতবাদকে বিশ্লেষণ করে দেখতে পেলেন যে, বিজ্ঞানী ফ্রয়েন্ডের পদ্ধতির সঙ্গে এই তিনটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির একটি গভীর সম্বন্ধ বিরাজ করছে। মানব দেহের ভিতর বিদ্যমান নয় এমন যে কোন উপাদানকে যদি মানবদেহে প্রবিষ্ট করানো হয় তাহলে দেহের শ্বেতকণিকা নামক অতি সূ² রক্ষীবাহিনী উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং দেহে প্রবিষ্ট বিজাতীয় পদার্থসমুহকে ধ্বংস করতে শুরু করে। এই কাজটি করার সময় তারা দেহের ভিতর বিদ্যমান মাতৃগর্ভে থাকার সময় জন্মের পূর্বেই অথবা জন্মের পরে যেসকল জীবাণু প্রবেশ করে ইমিউন টলারেন্স নামক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অকার্যকর অবস্থার সুযোগে মানুষের দেহে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিল এবং নানাবিধ রোগের সৃষ্টি করছিল, তাদেরকেও ধ্বংস করে ফেলে। এভাবে যদি বিজ্ঞানী ফ্রয়েন্ডের আবিষ্কার দ্বারা আমরা প্রাচীনপন্থী প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সংশয় দূর হয়ে যেতে পারে। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নানাবিধ প্রাকৃতিক বিষাক্ত উপাদান দ্বারা রোগ চিকিৎসাকে যুক্তি সংগত বলে মেনে নিতে পারছেন না। প্রসংগতঃ উল্লেখ্য যে, পোলিও টিকাকে ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করার ফলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অগনিত শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে গিয়েছিল, মুখে খাইয়ে প্রয়োগ করার ফলে সেই পার্শ¦প্রতিক্রিয়া থেকে আজ মানুষকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে। যেমনটি সম্ভব হয়েছে ডায়ারিয়া রোগের ক্ষেত্রে ইনজেশনের পরিবর্তে মুখে খাইয়ে ওরস্যালাইনের ব্যবহারকে প্রবর্তন করে। \nদেহের যেকোন জটিল রোগের কারণ হিসাবে কোন না কোন ভাইরাস এবং সেই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এ্যান্টিজেন নামক বিষকেই দায়ী করা হয়ে থাকে। ভাইরাস ধ্বংসকারী ঔষধ দ্বারা ভাইরাসকে ধ্বংস করা সম্ভব হলেও প্রাণহীন এ্যান্টিজেন নামক বিষকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। নানাবিধ রোগ সৃষ্টিকারী ঐসকল এ্যান্টিজেন নামক বিষসমুহকে একমাত্র টি এবং বি সেল নামক শ্বেতকণিকাই ধ্বংস করতে পারে। যার জন্য প্রয়োজন ঐসকল এ্যান্টিজেন নামক বিষের অনুরূপ চরিত্র বিশিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদানকে খুঁজে বের করা। এই কাজে আমরা হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে সুস্থ দেহধারী ব্যক্তিদেরকে মুখে খাইয়ে পরীক্ষা করে যেসকল সৃষ্ট রোগলক্ষণ পাওয়া গিয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে বিচার করে সমলক্ষণ বিশিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদানকে বেছে নিতে পারি। অতঃপর সেগুলোকে সূ²মাত্রায় মুখে খাইয়ে প্রয়োগ করলে দেহের টি এবং বি সেলসমুহ উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং মুখে খাওয়ানো উপাদানগুলোকে ধ্বংস করতে গিয়ে অনুরূপ চরিত্র বিশিষ্ট ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এ্যান্টিজেন নামক বিষকে ধ্বংস করে রোগকে নির্মূল করে থাকে। ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের আলোকে হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানের এই ব্যাখ্যার সাহায্যে বাংলাদেশী এই গবেষক প্রায় যে কোন জটিল রোগকে আরোগ্য করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রচলিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নীতিমালার সঙ্গে ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিজ্ঞানের সংযোগ ঘটিয়ে রোগীর দেহের মেডুলার বা মজ্জাগত, সেলুলার বা কোষগত এবং হিউমোরাল বা রসগত ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্টেম সেল, টি সেল এবং বি সেল সমুহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরোগ্যের প্রক্রিয়াকে উন্নততরভাবে ক্রিয়াশীল করতে সক্ষম এই নব উদ্ভাবিত প্রক্রিয়া, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। শুধুমাত্র রোগলক্ষণকে দূরীভূত করে নয় বরং আভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে রোগবিষ বা এ্যান্টিজেনের পুঞ্জিভূত আধারকে ধ্বংস সাধন করার ফলে ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস, ক্যান্সার, যক্ষ্মা ইত্যাদি সব রোগের মূল উৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে, যে কাজটি করতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও সক্ষম হয়নি। এই চিকিৎসার দ্বারা দেহকে বিষমুক্ত করার ফলে মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে সন্তান জন্মদানে সক্ষম পিতামাতাকে চিকিৎসার আওতায় এনে তাদের দেহকে বিষমুক্ত করে ভাবী সন্তানদেরকে স্বাস্থ্যবান এবং রোগপ্রবণতা মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। \nএমনকি এইচ,এল,এ’র প্রভাবে সৃষ্ট রোগ এ্যাংকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস অথবা কনজেনিটাল মেগাকোলন, শোগ্রেন্স সিনড্রম, এস,এল,ই ’র মতো জটিল সব রোগের আরোগ্য সম্ভব হচ্ছে । ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিজ্ঞানের ভাষায় হাইপারসেনসিটিভিটি, সাইটোটক্সিসিটি, ইমিউনকমপ্লেক্সিটি, অটোইমিউনিটি এবং ইমিউনোডিফিশিয়েন্সি নামক রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলাজনিত অসংখ্য যেসকল রোগ, চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বাধাগ্রস্থ করে স্টেরয়েড নামক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অবদমনকারী ঔষধ ব্যবহার করতে বাধ্য করছে, যার ফলে মানবজাতি দিন দিন শক্তিশালী সব ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ঔষধনির্ভর একটি পঙ্গু মানবজাতিতে পরিণত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিণতির হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য এই আবিষ্কার একটি অকল্পনীয় ভূমিকা রাখবে বলে উক্ত গবেষক আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি এই নবআবিষ্কৃত পদ্ধতির নামকরণ করেছেন হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন বা হোমিওপ্যাথির সাহায্যে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ।

           ————————————————————————

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন ফর্মূলা বিশ্ববাসিকে রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবনের সন্ধান দিবে

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, মানুষের দেহকে জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষমুক্ত করে রোগমুক্ত করার চেষ্টায় চিকিৎসা বিজ্ঞান সফল হতে পারে নি। মানুষের দেহে অস

অসংখ্য রোগের কারণ কিন্তু মূলতঃ একটি, আর তা হচ্ছে নানাবিধ জীবাণু এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগবিষ, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এ্যান্টিজেন। জীবাণু এবং ভাইরাসকে ওষুধের সাহায্যে মারা যায় কিন্তু তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগবিষকে মারা যায় না কারণ তাদের কোন প্রাণ নেই। অথচ তারা দেহকে বিষাক্ত করে রোগ সৃষ্টি করে থাকে।
এদেরকে ধ্বংস করতে পারে একমাত্র একদল অতিসূক্ষ্ম সৈন্যবাহিনী যাদের নাম এ্যান্টিবডি। তাহলে আমরা জানলাম যে, এ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করতে হলে চাই এমন এক মারণাস্ত্র যা দেহের গভীর থেকে খুঁজে বের করতে পারে সেই সকল শত্রম্নকে যারা দেহের অসংখ্য উপকারী বস্তুর সঙ্গে বন্ধুর ছদ্মবেশে লুকিয়ে থেকে ক্রমাগত ৰতি করে যাচ্ছে।
বাইরের জগতে গোয়েন্দা বাহিনী যেমন অসংখ্য দেশপ্রেমিক মানুষের মাঝ থেকে একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করে দেশকে রক্ষা করে, ঠিক তেমনি দেহকে রক্ষা করে এ্যান্টিবডি নামের রক্ষী বাহিনী। এ কাজটি যত সহজ মনে হচ্ছে, আসলে কিন্তু তত সহজ নয়। জীবাণু এবং ভাইরাসেরা যেমন অসংখ্য, তেমনি দেহের উপকারী উপাদানও অসংখ্য। এদের মাঝ থেকে সঠিকভাবে প্রকৃত শত্রুকে খুঁজে বের করা খুবই কঠিন কাজ। একটু ভুল করে যদি শত্রুর বদলে উপকারী বন্ধুকে আঘাত করা হয় তাহলে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এমনটি ঘটছে অসংখ্য রোগের বেলায় যার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ডায়াবিটিস, বন্ধাত্ব, সন্ধিবাত, এস.এল.ই, সোরাইসিস, ইত্যাদি। যার বিস্তারিত বিবরণ আমরা পরে দেব।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য এমন সব অস্ত্র আবিষ্কার করেছেন যেগুলো বাছাই করে শুধু শত্রুকে ধ্বংস করতে পারে না। ঐসকল অস্ত্র দ্বারা শত্রুকে ধ্বংস করতে গিয়ে উপকারী উপাদানগুলোকেও ধ্বংস করা হয়। ঠিক যেমনটি করে থাকে একটি সৈন্যবাহিনী, যারা আকাশ পথে বোমা বর্ষণ করে শত্রু মিত্র বিচার না করে নিরিহ দেশবাসিকে ধ্বংস করে থাকে। এন্টিবায়োটিক, কেমোথেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি হচ্ছে এমনি সব মারণাস্ত্র।
বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অনেক সাধনা করেও এমন কোন ওষুধ আবিষ্কার করতে পারছেন না যার দ্বারা দেহের অতিসূক্ষ্ম রক্ষীবাহিনীকে বাইরে থেকে পরিচালিত করে শুধুমাত্র অতিসূক্ষ্ম শত্রুবাহিনীকে ধ্বংস করা সম্ভব।
বাংলাদেশী একজন গবেষক দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ গবেষণা করে এর একটি সমাধান খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রচলিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভেষজ উপাদান থেকে তিনি এমন কিছু ভেষজকে খুজে বের করেছেন যেগুলো আমাদের দেহের শ্বেতকণিকাগুলোকে উত্তেজিত করে সঠিক ধরনের এ্যান্টিবডি তৈরী করাতে পারে, যেসব এ্যান্টিবডি দেহের উপকারী উপাদানের ক্ষতি না করে কেবলমাত্র ক্ষতিকর এ্যান্টিজেনগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ইমিউনোমডুলেশন বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ।
এই নব আবিষ্কৃত পদ্ধতির দ্বারা বিগত প্রায় ২৫ বছরে এমন সব রোগীকে আরোগ্য করা সম্ভব হয়েছে যা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে । কিন্তু বাংলাদেশী যেসব পর্যবেক্ষক কাছে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছেন, তারা এই পদ্ধতির সত্যতাকে উপলব্ধি করতে পারছেন। রোগ যতই জটিল নামধারী হোক না কেন, দেহকে বিষমুক্ত করতে পারলে অতি সহজেই রোগমুক্ত করা সম্ভব। যেদিন এই নব আবিষ্কৃত পদ্ধতি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে, সেদিন চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমানে প্রচলিত ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার থেমে যাবে এবং চিকিৎসা ও চিকিৎসা গবেষণার নামে ব্যাপক অর্থের অপচয় এবং প্রাণহানী থেকে মানবজাতি রক্ষা পাবে ।এর দ্বারা বাংলাদেশ বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবে । এটা কোন সাইন্স ফিকশনের কল্প কাহিনী নয়।
                           ———————————————————————————————————————————-

আপনারা জানেন না, আপনারা কি হারাচ্ছেন!

পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথির প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছেন কারণ হোমিওপ্যাথি ক্যান্সার, ডায়াবিটিস ইত্যাদি জটিল রোগের বেলায় আরোগ্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, শুধু লক্ষণ সাদৃশ্যের দ্বারা ওষুধ বাছাই করে ক্যান্সার, ডায়াবিটিস এর মতো রোগকে আরোগ্য করা সম্ভব নয়।
ক্যান্সারকে আরোগ্য করতে হলে বুঝতে হবে কিভাবে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি হতে হলে প্রথমতঃ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অবদমিত হতে হবে, কারণ যে সকল ভাইরাস সুস্থ দেহকোষকে ক্যান্সার কোষে রুপান্তরিত করে থাকে, সেই সকল ভাইরাসকে যদি দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দেহে প্রবেশ করা মাত্রই ধ্বংস করতে পারে তাহলে ভাইরাসেরা কোষের ভিতর প্রবেশ করে ডিএনএ কে পরিবর্তন করে ক্যান্সার কোষের জন্ম দিতে পারত না। বিষয়টি জানা থাকলে যেসব প্রক্রিয়ার দ্বারা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অবদমিত হয়, সেই সকল প্রক্রিয়াকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে ফেলতে পারা যেত।
একইভাবে ডায়াবিটিস রোগের বেলায় যে প্রক্রিয়াটি ইনসুলিন ধ্বংসের কাজটি সাধন করে থাকে তার নাম হচ্ছে অটোইমিউনিটি বা দেহের শত্রুকে ধ্বংস করতে গিয়ে দেহের ক্ষতিসাধন করা। দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ইনসুলিন কণাকে শত্রুভেবে ধ্বংস করতে গিয়ে ভাইরাস বহনকারী ইনসুলিন কণাকে ধ্বংস করে ফেলে, এই কথাটি জানা থাকলে  প্যানক্রিয়াসের ভিতর ভাইরাস প্রবেশ করে ইনসুলিন কণাকে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত করার পূর্বেই  ভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত হ্যাপটেন জাতীয় উদ্ভিদের এ্যালকালয়েডসমূহকে ব্যবহার করতে সক্ষম হতেন। যার ফলে ডায়াবিটিসের জন্মের পূর্বের সঠিক পদক্ষেপটি গ্রহণকরা সম্ভব হত।
এমনিভাবে বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিভার রোগের বেলায় হার্টের ভালবের ভিতর আশ্রয় গ্রহণকারী রোগজীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যেমন হার্টের ভালবকে নষ্ট করে ফেলে অথবা কিডনির ছাকনী বা নেফ্রনের ভিতর আশ্রিত জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে ছাকনীগুলোকে ধ্বংস করে সৃষ্টি করে কিডনির রোগ যার নাম গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস। এমনিভাবে  অস্থিমজ্জার ভিতর লুকানো  জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে সৃষ্টি করে নানাপ্রকার ব্লাড ক্যান্সার, ইত্যাদি অসংখ্য আরোগ্য অসম্ভব রোগের  কারণ জানা থাকলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা দেহের জীবাণু ধ্বংসকারী কোষগুলোকে বাইরে থেকে পরিচালিত করে সঠিকভাবে বাছাই করে শুধুমাত্র জীবাণুকেই ধ্বংস করা সম্ভব, যখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির মতো গণবিধ্বংসী প্রক্রিয়ার ব্যবহারকে বিলুপ্ত করে ফেলা সম্ভব হত।
এই কথাগুলো বুঝতে হলে আমাদের শ্রদ্ধেও হোমিওপ্যাথ ভাই ও বোনদেরকে ইমিউনোলজির জ্ঞান আয়ত্ব করা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় শুধুমাত্র অর্গানন এবং হোমিওপ্যাথির নীতিমালাকে সম্বল করে সঠিক লড়াইয়ের কাজটি সম্পাদন করা সম্ভব হবে না। সেই সুযোগ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে অবদমনকারী ওষুধ ব্যবহার করে মানুষের সর্বাত্মক ক্ষতি সাধন করতেই থাকবে এবং হোমিওপ্যাথ ভাইয়েরা নিঃস্ফল আক্রোশে এ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেই থাকবেন। যার ফল শুধুমাত্র শূন্য ব্যতিত আর কিছ্ইু হবে না। অতএব আসুন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ভাই ও বোনেরা, ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথি থেকে দৃষ্টিকে সরিয়ে নিয়ে ইমিউনোলজির জ্ঞান দ্বারা রোগের প্রকৃত কারণকে উপলব্ধি করি এবং হোমিও ওষুধের ব্যবহারকে ইমিউনোমডুলেশন বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণকারী পদ্ধতির দ্বারা প্রয়োগ করে মানবজাতিকে রোগমুক্ত করি।  তাতে হোমিওপ্যাথির জনক হ্যানিম্যানের অবমাননা করা হবে না। বরং উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে হোমিওপ্যাথির দৈন্যকে দূরীভুত করে হোমিওপ্যাথিকে প্রকৃত গৌরবময় আসনে অধিষ্ঠিত করতে সাহায্য করি।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান