মানবজাতির কল্যাণে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অবদানকে অধিকতর শক্তিশালী করতে পারে ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের সাথে হোমিওপ্যাথির ব্যবহার।

মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যখন দূর্বল হয়ে পড়ে তখন শক্তিশালী এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলো চিকিৎসার ক্ষেত্রে আশানুরুপ আরোগ্যকারী ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। এমন অনেক রোগ আছে যেগুলোর বেলায় রোগাক্রান্ত যন্ত্রগুলোকে রোগমুক্ত করতে না পেরে যন্ত্রগুলোকে শৈল্য চিকিৎসার দ্বারা কেটে বাদ দিতে হয়।
উদাহরণস্বরূপ-টনসিল, এপেন্ডিক্স, রোগাক্রান্ত ফুসফুসের কিয়দংশ, লিম্ফনোড, জরায়ু, ডিম্বাশয়,অন্ত্রের কিয়দংশ, থাইরয়েড গ্রন্থি, পিত্তথলি, কিডনি ইত্যাদি। এভাবে আদিকাল থেকে রোগাক্রান্ত দূর্বলযন্ত্রকে রোগমুক্ত করতে না পেরে যন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দেওয়ার পদ্ধতি চলে আসছে। এভাবে দূর্বল রোগাক্রান্ত দেহযন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দিলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম ক্রমাগত দূর্বল হয়ে পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ক্যান্সার জাতীয় রোগের আক্রমণ ঘটে যখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির দ্বারা ক্যান্সারের আক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর চেয়েও বেশী ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন যখন ওরাডেক্সন বা প্রেডনিসোলন জাতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকার্যকর করার মতো ওষুধের ব্যবহার করতে হয়। অথচ আমরা যারা শুরু থেকেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা উপরোক্ত রোগগুলোকে আরোগ্য করতে পারি তারা লক্ষ্য করে আসছি যে হোমিওপ্যাথির মতো দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ব্যবহার রোগীদের জন্য কিছুটা কষ্টদায়ক হলেও পরিণামে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং মূল্যবান দেহযন্ত্রগুলো আজীবন মানুষকে রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে থাকে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে মানুষমাত্রই অতিদ্রুত আরোগ্য লাভ করতে চায়। এমন একটি চাহিদা মানুষের ভিতর জন্ম নিয়েছে যখন আমাদের এই আবেদন হয়ত মানব সমাজের কাছে উপেক্ষিত হবে। তবুও আমরা মানবজাতিকে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার জাতীয় রোগের ভয়াবহ আগ্রসনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিষয়টিকে উপস্থাপন করছি। আশা করি এই আবেদন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও যারা ভুক্তভোগী তাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান