হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার কতিপয় নতুন উপায়।

যে সকল রোগী আমাদের চিকিৎসার অধীনে রয়েছেন তাদের মনে আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন রয়েছে যার ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ করে আসছি। রোগীদের যেহেতু চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারনা না থাকাই স্বাভাবিক তাই তারা আমাদের চিকিৎসা নিতে এসে অনেকেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। আপাত দৃষ্টিতে প্রতিটি রোগীর বেলায় আমাদের চিকিৎসার দ্বারা রোগের আরোগ্য সাধন করতে অনেক বেশী সময়ের প্রয়োজন পড়ে। তাই অন্য সকল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় আমরা জয়ী হতে পারি না। তুলনামূলকভাবে বেশী সময় লাগার কারণেই আমরা আমাদের অধীনস্থ রোগীদের সমর্থন লাভ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিটি রোগীর দেহে রোগের সুপ্ত কারণগুলোকে নির্মূল করতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। এর ফলে যদিও রোগীরা দীর্ঘমেয়াদীভাবে রোগমুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে থাকেন। কিন্তু প্রতিটি রোগীই আমাদের নিকট চিকিৎসার মেয়াদকে কমিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের মনের হতাশা ব্যক্ত করে থাকেন। এর ফলে আমাদের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা আশানূরুপ ভাবে বৃদ্ধি পায়নি। হোমিওপ্যাথির অনুসারী বিশে^র লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক সম্প্রদায় আরোগ্যের সময়কে কমিয়ে আনার জন্য অনেক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে রোগীরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন ঠিকই কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রোগের মূল উৎপাটন ঘটে না, তাই রোগসমূহের প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে গিয়ে নতুন ধরনের রোগের বিকাশ ঘটে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্রমাগত গবেষণা চালিয়ে আসছিলাম। ইদানিং উন্নত বিশে^ কিছু হোমিওপ্যাথি গবেষক ইমিউনোলজি বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সাইটোকাইন নামক এক ধরনের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রবর্তন করেছেন। এই নতুন ধরনের গবেষণা লব্ধ ওষুধগুলো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু উন্নত বিশে^র কয়েকটি দেশে এই জাতীয় ওষুধ দেহের গভীরে বিদ্যমান রোগগুলোকে নির্মূল করার ব্যাপারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের চাইতে অনেক বেশী ক্রিয়াশীল হওয়ার ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ মানবদেহে প্রয়োগ করলে দেহের শে^তকণিকা যেসকল জীবাণু ধ্বংসকারী এন্টিবডি তৈরী করে থাকে সেই সকল এন্টিবডিগুলোকে মানব দেহের বাইরে কৃত্রিমভাবে তৈরী করে ওষুধ হিসাবে প্রয়োগ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তারা ঐসকল ওষুধ এতোদিন যাবত ইনজেকশনের দ্বারা প্রয়োগ করে আসছিলেন। কিন্তু এর ফলে অনেক বেশীমাত্রায় পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কারণে একটি কোম্পানী এ্যালোপ্যাথিক ওষুধগুলোকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মতো মুখে খাওয়ানোর উপযোগী করে তৈরী করেছেন। এর ফলে আশা করা যায় যে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে দ্রুত ক্রিয়াশীল করার জন্য আলোচ্য নবউদ্ভাবিত ওষুধগুলো একটি শুভ পদক্ষেপ রাখতে সক্ষম হবে।
প্রসংগতঃ আমরা সেরাজেম নামক একটি চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম একটি উপাদানের নাম হচ্ছে ফার ইনফ্রারেড রশ্মি। এই রশ্মিটি সূর্য রশ্মির মাঝে বিদ্যমান রয়েছে। এর দ্বারা সমগ্র প্রানী জগত সূর্য রশ্মির সাহায্যে প্রকৃতি থেকে পুষ্টিকর উপাদান সৃষ্টি করে থাকে। জাপানে সনা বাথ নামক পদ্ধতিতে এই রশ্মির সাহায্যে শীত প্রধান এলাকায় দেহের পুষ্টি সাধন করা হয়ে আসছে। বর্তমানে ঐ পদ্ধতির অনুসরন করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা জেইড নামক পাথরের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে ফার ইনফ্রারেড রশ্মি বা (FIR ) তৈরী করার পদ্ধতি ব্যবহার করে মানবদেহকে অসংখ্য রোগ থেকে মুক্ত করার উপযোগী মেশিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন। যার নাম দিয়েছেন তারা “সেরাজেম”। এই মেশিনটি বিশ^ব্যাপি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে ফার ইনফ্রারেড রশ্মির এই ব্যবহার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এমন একটি উপাদানের ব্যবহার এযাবত বিশে^ দেখা যায় নি। এই রশ্মি প্রয়োগের ফলে রোগীদের দেহের উত্তাপ বেড়ে যায় এবং বর্জ্য নিঃসরণ প্রক্রিয়ার বৃদ্ধির কারণে রোগীর দেহ বিষমুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে রোগমুক্ত হতে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসাদান কালে দেহে নানাবিধ রোগবৃদ্ধির কারণে কষ্টদায়ক রোগলক্ষণ দেখা দেয়। এই পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করে ঐসকল কষ্টকর রোগলক্ষণগুলোকে সহ্য সীমার মধ্যে রাখা সম্ভব হয়। মানবদেহে মিশ্রমায়াজম ঘটিত রোগের চিকিৎসার সময় দেহে বিদ্যমান টিউবারকুলার এবং ক্যান্সার ঘটিত মায়াজমের যৌথ উপস্থিতিকে নির্মূল করার সময় যখন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বারবার ব্যর্থ হতে থাকে তখন উপরোক্ত রশ্মির দ্বারা চিকিৎসা সমগ্র আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে থাকে বলে আমরা পরীক্ষায় দেখতে পেয়েছি। এসম্বন্ধে আরো গবেষণা প্রক্রিয়া চলছে যা হোমিওপ্যাথিকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে।

হোমিওপ্যাথির প্রকৃত মূল্যায়ন করতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্য সকল শাখার চাইতে কোন বিষয়টি হোমিওপ্যাথিকে একটি সাহায্যকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছে।

আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, পৃথিবীতে মানবদেহে রোগের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানবদেহে প্রবিষ্ট রোগজীবাণুকে ওষুধের সাহায্যে ধ্বংস করলে জীবাণুকে দূর করা যায় কিন্তু জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষাক্ত উপাদান দেহ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয় না। ঐসকল বিষাক্ত উপাদানকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এন্টিজেন বা রোগবিষ বলা হয়। ঐসকল বিষাক্ত উপাদান ক্রমাগত দেহে জমা হতে থাকে। যার ফলে দেহের আভ্যন্তরীন পরিবেশ ক্রমাগত দূষিত হয়ে যায়। এই দূষনের ফলে ক্রমশঃ অধিকতর শক্তিশালী জীবাণু এবং ভাইরাস মানবদেহের বিষাক্ত পরিবেশে প্রবেশ করার ক্ষমতা অর্জন করে। এই ক্রমবর্ধমান দূষনের কারণে সৃষ্ট অধিকতর শক্তিশালী রোগসমূহকে দমনের ক্ষমতা ব্যবহৃত ওষুধগুলো হারিয়ে ফেলছে। এই ক্রমবর্ধমান দূষণজনিত সৃষ্ট রোগ থেকে দেহকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দেহ থেকে বহিষ্কৃত করার উপযোগী ওষুধের ব্যবহার করা। শুধুমাত্র রোগকষ্টকে দূরকরলেই চলবে না, দেহের আভ্যন্তরীন পরিবেশকে বর্জ্য নিঃসরন বা ডিটক্সিফিকেশন পদ্ধতির দ্বারা কলুষমক্ত বা পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। প্রচলিত কোন চিকিৎসাতেই এই কাজটি করা সম্ভব হয় না যতক্ষন পর্যন্ত না চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো দেহের জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষগুলোকে এন্টিবডির সাহায্যে দেহ থেকে বহিষ্কৃত করে ফেলতে পারবে। এ কাজটি করতে সক্ষম একমাত্র হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতি যার দ্বারা দেহ কেবলমাত্র রোগ কষ্ট থেকে মুক্তি লাভই করে না বরং হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সঙ্গে দেহমধ্যস্থ বিষাক্ত উপাদানগুলো মিশ্রিত হয়ে এমন এক পদার্থ সৃষ্টি করে যা দেহের বর্জ নিঃসরনের পথ দিয়ে দেহ থেকে নির্গত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার ফলে দেহের আভ্যন্তরীন পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা লাভ করে থাকে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারের ফলে অর্জিত এই বিশেষ উপকার সম্বন্ধে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে অবগত নন। আধুনিক ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের দ্বারা আবিষ্কৃত “এন্টিজেন – এন্টিবডি” সংক্রান্ত জ্ঞান দ্বারা আমরা বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত সুক্ষ্মমাত্রার ভেষজের সঙ্গে দেহস্থ বিষাক্ত উপাদানের মিশ্রনের ফলে এই প্রক্রিয়াটি ঘটে থাকে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ওষুধের দ্বারা এই প্রক্রিয়াটি ঘটতে পারে না। হোমিওপ্যাথি দ্বারা অর্জিত এই সুফলের ফলে একজন রোগী প্রত্যেকটি রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর অধিক মাত্রায় সুস্থতা অর্জন করে থাকে যা অন্য কোন চিকিৎসায় অর্জন করা সম্ভব হয় না।
যেসব রোগী শৈশব থেকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা লাভ করে থাকে তারা ক্রমাগত অধিকতর সুস্থদেহের অধিকারী হতে থাকে। এই বিষয়টি আমরা দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীদেরকে পর্যবেক্ষন করে উপলব্ধি করতে পেরেছি। এর ফলে আজন্ম হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বয়স বৃদ্ধিজনিত কারণে জটিল রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয় না । অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রবণতার ব্যাপারটি থেতে একজন হোমিও চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যাক্তি মুক্তিলাভ করতে পারে। ফলে বয়সবৃদ্ধি জনিত জটিল রোগ যথা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি থেকে মুক্ত থেকে অধিক বয়স পর্যন্ত আয়ুষ্কালপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা সুস্থ জীবনের অধিকরী হতে পারেন। বিগত শতাব্দিতে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা দ্বারা আলোচ্য বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছিল।
ফ্রান্সের ডাঃ ও এ জুলিয়ান ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিকে সংযুক্ত করে “ডাইনামাইজড মাইক্রো ইমিউনোথেরাপি” নামে আখ্যায়িত করে এক নতুন চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্ম দিয়েছিলেন যার দ্বারা ইমিউনোলজি বিজ্ঞানে ইনজেকশন দ্বারা প্রয়োগকৃত ওষুধের পরিবর্তে মুখে খাওয়ানোর পদ্ধতিকে প্রচলন করা হয়, তার পদ্ধতি অনুসরণ করে বর্তমানে এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত সাইটোকাইন জাতীয় ওষুধের মৌখিক ব্যবহারের প্রচলন করা হয়েছে। এই অত্যাধুনিক ওষুধের ব্যবহার এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত ইনজেকশন দ্বারা প্রয়োগকৃত ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়াকে দূর করে এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন মাত্রার সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছে।
ইদানিংকালে আমরা ক্যান্সার, এইডস এর মতো প্রানঘাতী রোগের পর হেপাটাইটিস, ইবোলা, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি ভাইরাস ঘটিত রোগ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যে সমাধান খুজে পাচ্ছেন না তাদেরকে আমরা একটি শুভ সংবাদ দিতে চাই যে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের অর্জিত শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে উপরোক্ত জটিল রোগগুলো সহজে আক্রমণ করতে পারে না এবং আক্রমণ করলেও সহজেই আরোগ্য করা সম্ভব হয় ।
এদিক দিয়ে হোমিওপ্যাথি প্রকৃতপক্ষে একটি কমপ্লিমেন্টারী এবং অল্টারনেটিভ মেডিসিন হিসাবে এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার দিকে পরিপূরক হিসাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে যা বিশ^ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কম ব্যয়বহুল করে তুলতে সক্ষম। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার সকল শাখারই উচিত হোমিওপ্যাথিকে সহযোগী চিকিৎসা হিসাবে গ্রহণ করা।
 

মানবজাতির কল্যাণে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অবদানকে অধিকতর শক্তিশালী করতে পারে ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের সাথে হোমিওপ্যাথির ব্যবহার।

মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যখন দূর্বল হয়ে পড়ে তখন শক্তিশালী এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলো চিকিৎসার ক্ষেত্রে আশানুরুপ আরোগ্যকারী ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। এমন অনেক রোগ আছে যেগুলোর বেলায় রোগাক্রান্ত যন্ত্রগুলোকে রোগমুক্ত করতে না পেরে যন্ত্রগুলোকে শৈল্য চিকিৎসার দ্বারা কেটে বাদ দিতে হয়।
উদাহরণস্বরূপ-টনসিল, এপেন্ডিক্স, রোগাক্রান্ত ফুসফুসের কিয়দংশ, লিম্ফনোড, জরায়ু, ডিম্বাশয়,অন্ত্রের কিয়দংশ, থাইরয়েড গ্রন্থি, পিত্তথলি, কিডনি ইত্যাদি। এভাবে আদিকাল থেকে রোগাক্রান্ত দূর্বলযন্ত্রকে রোগমুক্ত করতে না পেরে যন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দেওয়ার পদ্ধতি চলে আসছে। এভাবে দূর্বল রোগাক্রান্ত দেহযন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দিলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম ক্রমাগত দূর্বল হয়ে পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ক্যান্সার জাতীয় রোগের আক্রমণ ঘটে যখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির দ্বারা ক্যান্সারের আক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর চেয়েও বেশী ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন যখন ওরাডেক্সন বা প্রেডনিসোলন জাতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকার্যকর করার মতো ওষুধের ব্যবহার করতে হয়। অথচ আমরা যারা শুরু থেকেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা উপরোক্ত রোগগুলোকে আরোগ্য করতে পারি তারা লক্ষ্য করে আসছি যে হোমিওপ্যাথির মতো দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ব্যবহার রোগীদের জন্য কিছুটা কষ্টদায়ক হলেও পরিণামে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং মূল্যবান দেহযন্ত্রগুলো আজীবন মানুষকে রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে থাকে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে মানুষমাত্রই অতিদ্রুত আরোগ্য লাভ করতে চায়। এমন একটি চাহিদা মানুষের ভিতর জন্ম নিয়েছে যখন আমাদের এই আবেদন হয়ত মানব সমাজের কাছে উপেক্ষিত হবে। তবুও আমরা মানবজাতিকে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার জাতীয় রোগের ভয়াবহ আগ্রসনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিষয়টিকে উপস্থাপন করছি। আশা করি এই আবেদন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও যারা ভুক্তভোগী তাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে।

হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে একজন অধিকতর জ্ঞান সম্পন্ন্ ইমিউনোলজিষ্টের যোগদান

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে জটিল রোগের চিকিৎসায় ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথির চাইতে আরো বেশী কার্যকর করার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে আমরা হোমিওপ্যাথির সঙ্গে ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিদ্যাকে ব্যবহার করে আসছি। এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা দেখতে আমাদের ওয়েব সাইট http://www.homeomodulation.com দ্রষ্টব্য। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে আরো বেশী কার্যকর এবং ফলপ্রসু করার জন্য একজন অধিকতর জ্ঞান সম্পন্ন্ ইমিউনোলজিষ্ট ডাঃ মুহাম্মদ আবদুল আলীম এমবিবিএস, এমফিল (ইমিউনোলজি), এমপিএইচ, রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর, আইসিডিডিআর, বি; আমাদের গবেষণামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে আমরা রোগীদেরকে আরো উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারব।

হোমিওপ্যাথি দ্বারা ডায়াবিটিস সদৃশ অসংখ্য অটোইমিউনিটি জনিত আত্মঘাতী রোগের চিকিৎসা

অটোইমিউনিটি কিঃ-
প্রথমে আমাদেরকে বুঝতে হবে অটোইমিউনিটি কি।
মানুষের দেহে প্রয়োজনীয় অসংখ্য উপাদানের মাঝে মিশে থাকে ক্ষতিকর জীবাণূ সদৃশ অনেক পদার্থ। দেহের রোপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ঐসকল প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে বাছাই করে কেবলমাত্র ক্ষতিকর উপাদানগুলোকেই ধ্বংস করে থাকে। এভাবে দেহের আভ্যন্তরীন পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখতে পারলেই মানুষ সুস্থ থাকতে পারে। অন্যথায় মানুষের দেহযন্ত্রগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিন্তু দেহকে পরিস্কার রাখার এই কাজটি করতে গিয়ে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভুল করে উপকারী উপাদানগুলোকে ক্ষতিকর উপাদান ভেবে ধ্বংস করতে শুরু করে তাহলে অত্যন্ত মারাত্মক এক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। যার নাম অটোইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার আত্মঘাতী ক্রিয়াজনিত রোগ। এধরনের রোগের মধ্যে ডায়াবিটিস টাইপ-১, একটি অতি সুপরিচিত রোগ। এই রোগের বেলায় দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইনসুলিন নামক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন জাতীয় উপাদানকে ধবংস করে ফেলে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে রোগ জর্জরিত দেহ নিয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে।
এমনি আরেকটি রোগের নাম সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস বা এসএলই। এটি ডায়াবিটিসের চাইতেও ভয়ংকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এসকল অটোইমিউনিটি জনিত রোগের একমাত্র চিকিৎসা হিসাবে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অথচ ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিদ্যার সঙ্গে হোমিওপ্যাথির যৌথ প্রয়োগের দ্বারা দেহকোষের গভীরের এরকম একটি বিশৃংখলাকে নিয়ন্ত্রণ করে আরোগ্যের কাজটি সাধন করা সম্ভব।
বিষয়টি বুঝতে হলে ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের আর একটি কথাকে বুঝতে হবে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যে কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারী উপাদানকে জীবাণুর মতো ক্ষতিকর বলে ভেবে থাকে তার নাম হচ্ছে মলিকিউলার মিমিক্রি। ক্ষতিকর এবং উপকারী দুটি উপাদানের বার্হ্যকি গঠন যদি একই রকম হয় তাহলে দেহের প্রতিরক্ষা বাহিনী (বি এবং টি সেল) ভুলক্রমে উপকারী উপাদানকে ক্ষতিকর বলে ভেবে বসে এবং উপকারী উপাদানগুলোকে ধ্বংস করতে শুরু করে। এরকম একটি ভ্রান্তিমূলক কাজ তখনই ঘটে থাকে যখন দেহের ভিতর ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদানের পরিমান খুবই বেশী পরিমানে জমে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রক্রিয়া দেহের ভিতর বিষাক্ত উপাদানকে যদি অধিক মাত্রায় জমা হতে না দেয় তাহলে উপরোক্ত বিভ্রান্তি ঘটতে পারে না।
মানুষের দেহে ইনসুলিন নামক একটি পদার্থ তৈরী হয়, যার দ্বারা মানুষ ডায়াবিটিস রোগ থেকে মুক্ত থাকে। মানুষের দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কখনো ভুল করে ইনসুলিনকে জীবাণু সদৃশ ক্ষতিকর উপাদান ভেবে ধ্বংস করে ফেলে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ডায়াবিটিস টাইপ-১ নামক রোগ। আরো অনেক কারণের মধ্যে এটি ডায়াবিটিস রোগের একটি প্রধান কারণ। দেহে এরকম ভুল তখনই ঘটে থাকে যখন কোন জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করে ঐ ইনসুলিন কণাগুলোর সঙ্গে লেগে থাকে। তখন দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ঐ সকল জীবাণুকে মারতে গিয়ে জীবাণুর সঙ্গে সঙ্গে ইনসুলিন কণাগুলোকেও মেরে ফেলে। উদাহরণস্বরুপ- কোন দেশে সন্ত্রাসীদেরকে দমন করতে গিয়ে দেশের রক্ষিবাহিনী সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি অবস্থানরত নিরিহ জনগোষ্ঠিকেও মেরে ফেলে। শত্রুকে ধ্বংস করতে গিয়ে ভুল করে দেহের প্রয়োজনীয় উপাদানকে ধ্বংস করার নাম হচ্ছে অটোইমিউনিটি বা আত্মঘাতী ক্রিয়াজনিত রোগ। এই প্রক্রিয়ার ফলেই সৃষ্টি হয় ডায়াবিটিস নামক রোগ। শুধু ডায়াবিটিস নয়, এমনি শত শত অটোইমিউনিটিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে কারণ কোন এ্যান্টিবায়োটিক দ্বারাই ঐসকল রোগজীবাণুকে প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে পৃথক করে ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে রোগকষ্ট সহকারে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কাজ হচ্ছে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পরিচালিত করে দেহে বসবাসকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে সাহায্য করা। এই দিক দিয়ে এন্টিবায়োটিক ওষুধের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। এন্টিবায়েটিক নিজেই জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেহের রক্ষিবাহিনীকে ব্যবহার করে জীবাণু ধ্বংসের কাজটি সম্পাদন করে থাকে। হোমিওপ্যাথির এই বিশেষ গুণটির কারণে এর কার্যক্ষমতা এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানের চাইতে শ্রেষ্ঠতর। এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক অল্পসংখ্যক কিছু নির্দিষ্ট জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সীমাহীন শক্তিকে ব্যবহার করে এক সঙ্গে বহু ধরনের জীবাণু এবং ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে। শুধু তাই নয় একই সঙ্গে অবস্থানকারী জীবাণু এবং দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহের মধ্য থেকে বাছাই করে শুধুমাত্র ক্ষতিকর উপাদানসমূহকে ধ্বংস করার কাজটিও করতে সাহায্য করে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, যা কোন ক্রমেই এ্যালোপ্যাথিক বিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব নয়।
হোমিওপ্যাথির এই কর্মক্ষমতাকে বুঝতে হলে তার আরোগ্য ক্রিয়াকে বুঝতে হবে। সুস্থ দেহের উপর পরীক্ষা করে হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত ভেষজসমুহের দ্বারা কৃত্রিম রোগ উৎপাদনকারী শক্তিকে নির্ধারণ করা হয়। হোমিওপ্যাথির ভাষায় একে প্রুভিং বলা হয়। অসুস্থ দেহে প্রয়োগ করলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কোন্ রোগটিকে আরোগ্য করতে পারবে তা নির্ধারণ করা হয় এই প্রুভিং নামক পরীক্ষার সাহায্যে। এভাবে প্রাণঘাতী নয় অথচ রোগ সৃষ্টি করার মতো ক্ষমতা সম্পন্ন বিষাক্ত ভেষজের দ্বারা হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অসংখ্য আরোগ্যকারী ওষুধরাজির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ- ল্যাকেসিস নামক গোখরা সাপের বিষ দ্বারা রক্তের বিষাক্ততাকে দূর করে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করা হয় হোমিওপ্যাথিতে। কিন্তু কিভাবে যে আরোগ্যের কাজটি ঘটে থাকে তার সঠিক ব্যাখ্যা আমরা প্রাচীন হোমিওপ্যাথিক শাস্ত্রের দ্বারা এতদিন বুঝতে পারিনি। বর্তমানে ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিজ্ঞানের দ্বারা আমরা বুঝতে পারছি যে, সূক্ষ্মমাত্রায় ব্যবহৃত সাপের বিষ মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উত্তেজিত করে এমন এন্টিবডি সৃষ্টি করতে পারে যা সাপের বিষের অনুরূপ বিষাক্ত উপাদান, যার দ¦ারা রোগীর দেহে রক্তের বিষাক্ততা উৎপাদিত হয়েছিল, তাকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। হোমিওপ্যাথির এই অভাবনীয় কর্মক্ষমতাকে এযাবত কাল আমরা সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার বা লাইক কিউরস্ লাইক নামক হোমিওপ্যাথিক নীতিমালার দ্বারা বুঝতে সক্ষম হইনি। দেহের মধ্যে বিদ্যমান জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদানসমূহকে প্রকৃতি থেকে সংগৃহিত একই চরিত্র বিশিষ্ট বিষাক্ত উপাদান দ্বারা নির্মূল করার এই প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানই আবিষ্কার করেন,যাকে আজ অবধি চিকিৎসা বিজ্ঞান সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়নি। আসলে হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানকে বুঝতে হলে ইমিউনোলজি বা রোগপ্রতিরোধ বিদ্যাকে বুঝা দরকার, যার বিকাশ ঘটেছে ইদানিংকালে।
তাই শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিকে ব্যবহার করে যে কাজটি আমরা সম্পাদন করতে সক্ষম হইনি, ইমিউনোলজিকে ব্যবহার করে আমরা সে কাজগুলোকে সম্পাদন করতে পারছি। বিশেষ করে যেসব রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নন-কমিউনিকেবল বা অসংক্রামক বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে, যেমন- ডায়াবিটিসের মতো ক্যান্সার এবং লিভার, কিডনি, হৃদপিন্ড ইত্যাদির রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞান যেসকল ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা করে আসছেন, তার ফলে রোগগুলো দেহ থেকে চিরতরে নির্মূল হচ্ছে না বরং ক্রমাগত ওষুধ ব্যবহারের ফলে দেহের রোগকষ্টগুলো সাময়িকভাবে কমে যাচ্ছে কিন্তু বিষাক্ত উপাদানগুলো দেহ থেকে দূরীভুত হচ্ছে না। ঐসকল বিষাক্ত উপাদান ক্রমাগত দেহযন্ত্রগুলোর ক্ষতিসাধন করে চলছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দেহযন্ত্রগুলো দূর্বল হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। তখন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অস্ত্রপচারের দ্বারা ঐসব যন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দিয়ে সুস্থ ব্যাক্তির দেহ থেকে সুস্থ যন্ত্র এনে লাগিয়ে মানুষটিকে বাচানোর চেষ্টা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ক্রমাগত জীবাণুর আক্রমনের দ্বারা যখন একটি কিডনি, লিভার, ফুসফুস বা অন্ত্রের একটি অংশ আরোগ্য সীমার বাইরে চলে যায়, তখন সেই যন্ত্রগুলোকে কেটে বাদ দিয়ে একজন সুস্থ ব্যাক্তির দেহ থেকে ঐ যন্ত্রগুলোকে আংশিক বা পরিপূর্ণভাবে কেটে এনে জোড়া লাগানো হয় যাকে ট্রান্সপ্লানটেশন বা অঙ্গসংযোজন বলে। কিন্তু যদি দেহের ভিতর সক্রিয় জীবাণু থেকে যায় তাহলে সেই জীবাণু নতুনভাবে সংযোজিত যন্ত্রটিকেও আক্রমণ করে ধ্বংস করে ফেলে।
অথচ রোগাক্রান্ত যন্ত্রগুলোকে যখন হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা রোগমুক্ত করা হয়, যেমন চেলিডোনিয়াম দিয়ে লিভারের রোগ, বারবেরিস ভালগারিস দ্বারা কিডনির রোগ, ডিজিটালিস, ক্র্যাটেগাস অথবা ক্যাকটাস দ্বারা হৃদপিন্ডের রোগ, থুজা অক্সিডেন্টালিস, রেডিয়াম ব্রোমাইড বা হাইড্রাসটিস দ্বারা নানাবিধ ক্যান্সার রোগকে আরোগ্য করা হয়, তখন উপরোক্ত হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলোর সাহায্যে দেহের গভীরে আশ্রিত রোগজীবাণুগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে সম্পূর্ণ মানবদেহটি একটি সুস্থ মানব দেহে পরিণত হয়। তখন আর ক্রমাগত ওষুধের ব্যবহার করে রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত মানুষটিকে রোগকষ্ট উপশম করে জীবন্মৃত অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
বিষয়টিকে একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। একটি রোগী যখন ক্রমাগত পেটের অসুখে ভুগতে থাকে তখন চিকিৎসা বিজ্ঞান রোগটিকে আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম বলে আখ্যায়িত করেন এবং কোন চিকিৎসার দ্বারাই রোগটিকে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা অনুরূপ অসংখ্য রোগীকে চিকিৎসা করে দেখতে পেয়েছি যে, আইবিএস হচ্ছে একটি অন্ত্রের যক্ষ্মা সদৃশ রোগ যাকে হোমিওপ্যাথির এ্যান্টিটিউবার্কিউলার (যক্ষ্মানাশক) ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা করলেই রোগটি আরোগ্য হয়ে যায়। তেমনি মেয়েদের শ্বেতপ্রদর নামক রোগটি এবং ছেলেদের স্বপ্নদোষ বা নাইট পলিউশন নামক রোগটিও আসলে একধরনের যক্ষ্মা সদৃশ ক্ষয়রোগ। এদেরকেও হোমিওপ্যাথির এ্যান্টিটিউবার্কিউলার ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা করে আরোগ্য করা সম্ভব। তেমনিভাবে বিভিন্ন লিম্ফগ্ল্যান্ডের এবং থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার রোগগুলোকে যদিও এফএনএসি বা বায়োপসি দ্বারা পরীক্ষা করে কারণগুলোকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না, অথচ হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী চিকিৎসার দ্বারা অতি সহজে রোগগুলোকে আরোগ্য করা সম্ভব। এসব ক্ষেত্রে আসলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিতকরন বা ইমিউনোমডুলেশন প্রক্রিয়াটিকেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা ঘটানো হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ যে, এসএলই নামে একটি রোগ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হিমশিম খেয়ে থাকেন। এই রোগটিকে অটোইমিউন রোগ নামে চিহ্নিত করা হয়। আসলে এই রোগটির জন্ম হয়ে থাকে তখন, যখন বিভিন্ন রোগজীবাণু দেহ কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকার ভিতর প্রবেশ করে বাসা বাঁধে এবং ডিএনএ’র চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তখন নিউক্লিয়াস এবং ডিএনএ ধ্বংসকারী এন্টিবডি তৈরী করে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত নিউক্লিয়াস অথবা ডিএনএকে ধ্বংস করতে শুরু করে।
এসএলই বা সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস কিংবা ডিএলই বা ডিসকয়েড লুপাস এরিথিমেটোসাস এ দুটি রোগের বেলায় চিকিৎসা বিজ্ঞান কেবলমাত্র প্রেডনিসোলন নামক ওষুধের দ্বারা এসব রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেহের নিউক্লিয়াসের গভীরে লুকানো রোগজীবাণু ধ্বংস করতে গিয়ে যে আত্মঘাতী বা অটোইমিউন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় তাকে বন্ধ করে ফেলা। কিন্তু এভাবে জীবাণুকে ধ্বংস না করে কেবলমাত্র জীবাণু ধ্বংসের প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিলে সাময়িকভাবে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় কিন্তু দেহের গভীরে সঞ্চিত রোগজীবাণুগুলো ধীরেধীরে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলোকে আক্রমণ করে থাকে। এর ফলে দুটি কিডনি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়। যখন কিডনি প্রতিস্থাপনের দ্বারা রোগীকে বাচানোর চেষ্টা করা হয়।
এমনি আরেকটি রোগের নাম আইজিএ নেফ্রপ্যাথী। এটি কিডনির একটি রোগ যার শুরু হয় জীবাণু দ্বারা কিডনির নেফ্রন বা ছাকনিগুলো আক্রান্ত হলে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তখন আইজিএ নাম এন্টিবডি বা সৈন্য বানিহীকে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য কিডনিতে পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, ঐধরনের এন্টিবডি জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে কিডনিকেই ধবংস করে ফেলে। যখন দেহের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যেতে থাকে যার ফলে রক্তের চাপ বেড়ে যায়। এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের হাতে তখন একমাত্র রক্তের ডায়ালাইসিস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। ডায়ালাইসিস শুরু করার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে একমাত্র প্রেডনিসোলনের ব্যবহার। অথচ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দ্বারা অতি সহজে দেহে প্রবিষ্ট জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা যায়, যখন কিডনি আইজিএ নামক এ্যান্টিবডির আক্রমনের হাত থেকে বেচে থাকতে পারে। এমনি ধরনের আরোগ্যের প্রক্রিয়া ঘটেছে হেলেন বেগমের বেলায় ১৯৮৩ সালে যিনি এখনো সুস্থদেহে বেঁচে আছেন। শুধু চিকিৎসার সময় তার বামস্তনে একটি এবসেস বা ফোঁড়ার জন্ম হয়েছিল। যেটি ফেটে পুঁজ রক্ত সহকারে তার দেহের জীবাণুগুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। এইকষ্টের বিনিময়ে তার কিডনি দুটো জীবাণুর আক্রমণ থেকে বেঁচে গিয়েছিল। এধরনের রোগের আরেকটি নাম হচ্ছে গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস বা জিএন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এইসব রোগের চিকিৎসা একমাত্র স্টেরয়েড বা প্রেডনিসোলন দ্বারা সম্পাদিত হয়ে থাকে।
উপরোক্ত বক্তব্যগুলোকে থেকে আমরা একটি কথাকে তুলে ধরতে চাচ্ছি যে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃংখলাজনিত অসংখ্য রোগের চিকিৎসার লক্ষ্যে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিষ্কৃয় রাখার যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আসছেন তার চাইকে হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত সূক্ষ্মমাত্রার ভেষজের ব্যবহার মানবজাতিকে রোগমুক্ত সুস্থজীবন দান করতে পারে, যা হচ্ছে একাধারে নিরাপদ, সম্পূর্ণ আরোগ্যকারী এবং কম ব্যয়বহুল। এর ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে অনেকগুণ বেশী ক্রিয়াক্ষমতা সম্পন্ন করে তুলতে সক্ষম।
প্রচারে
ডাঃ এস এন রশীদ ইনোভেটর
হোমিওপ্যাথিক ইমিউনোমডুলেশন রিসার্চ সেন্টার
ঢাকা
মোবাইলঃ 01199119704

The need of the help of Immunology to overcome the impediments of allopathy and homeopathy to cure obstinate non-communicable incurable diseases.

The use of homeopathic medicines in curing non-communicable diseases can be explained by the use of the theory of immunology only which could not be done only by the use of the doctrine of homeopathy “like cures like or Similia Similibus Curantur”. If we could assist the system of homeopathy by the concept of “antigen-antibody” of immunology, it would have been easier for the ancient and modern schools of medicine to join hands in treating diseases by the attenuated forms of pathogenetic natural substances together with bacterial endotoxins which was developed by Jules T Freund (vide Freund’s complete and incomplete adjuvants). The followers of modern medicine failed to accept the concept of immunostimulation by the use of adjuvants due to the failure to apply the adjuvants by the injectable form, which was successful for the animal model. If the oral use of the adjuvants used in homeopathy could be made acceptable to the followers of modern medicine, the impediments of the concept of immunomodulation due to the failure of the application of the concept of immunostimulation by injectable form of adjuvants could have been overcome. Instead of using the artificially developed cytokines, if the cytokines could have been developed in human body by the application of attenuated adjuvants of homeopathy, the adverse reactions caused by the application of injectable form of cytokines in treating various viral diseases could have been eliminated with success in curing viral diseases like hepatitis, etc. This concept of homeopathic use of attenuated natural pathogenetic drugs from the early stage of diseases before the immune system has suffered great amount of damage caused by powerful immuno-suppressive drugs used in allopathy, it would have helped the scientists of modern medicine to avoid various therapeutic approaches which is causing diseases to be more incurable and economically more costly to be treated and making people less productive due to repeated and prolonged diseases.

Immune Tolerance is the cause of most of the diseases of mankind.

In a mother’s womb, a fetus does not have the capacity to resist the entry of viruses from mother’s body, until a baby is born and receives its nourishment from breast feeding. Before birth, the fetus is formed by the combination of ingredients from both the parents and hence the mother’s body considers it as a foreign body and is forced to allow the fetus for a period of nine months to stay in the womb. After the expiry of period, when the fetus attains its maturity, the mother’s body throws it off.

immune tolerance

During this period of stay in this temporary shelter, whatever ingredients enter into the fetus’s body for the growth of the child, are considered as “self” or beneficial for the child. During this opportunity, many viruses enter into the fetus’s body and get friendly with the immune system of the child. These viruses stay for the whole of the child’s life as friend and keep on doing harm to the child. This process of considering the enemy as friends, to allow the child to grow in a mother’s womb for its survival without causing any hostility against the viruses, is called “Immune Tolerance” .

For this immune tolerance, every human being considers some viruses and toxic substances produced by viruses as his own cells and never consider them as enemies. But these opportunistic viruses remain harmful by nature and continue to cause diseases for the host. This type of unholy alliance with enemies is to be broken and the human body should be made alert against such enemies to destroy those friendly enemies to make human body clean and free from diseases. This too difficult task is being done by homeopathy, when a well selected natural substance, similar in toxic nature as the inherited friendly toxin, is chosen and introduced into a human body by the oral route which mimics the viral enemy and excites the B cell to generate antibodies to destroy the natural substance say, Belladonna or Bryonia etc. and simultaneously destroy the innumerable viral enemies by mistake forgetting the long developed friendship from mother’s womb.

This tricky approach of homeopathy is too difficult to understand without knowing the complex nature of the immune system of human body, such as (1) How viruses take the opportunity to be friendly with the vital ingredients of a developing fetus’s body, (2) The viruses do not leave their evil nature of doing harm to the host’s body, (3) The nature of the viruses is first indentified and noted down in the case history of the patient, we call these as symptoms of diseases, (4) Based on these symptoms, we select natural substances capable of producing similar disease symptoms on a healthy human body, (5) apply this natural substance in diluted form orally to act as viruses and to excite the B cells to generate antibodies to destroy the newly administered natural toxic substance as well as the evil viruses who are camouflaged as friends and causing harm to the innocent host.

This technique was developed by Samuel Hahnemann without knowing the science of immunology, but who did something which is too difficult to realize by the eminent immunologists of the present century. If we the homeopaths do not realize this technique of micro-warfare which is being applied by thousands of followers of homeopathy, how can we make this technique understood by the followers of modern medicine today.

Homeopathy Can Change The Global Economy (P-2)

Homeopathy can prevent and cure the following Auto-immune Diseases.


Auto-immune diseases are produced when bacteria and viruses enter into human body and take shelter in various organs inside cells. When they accumulate in large numbers, the immune system produce antibodies to attack and destroy them. During this process of action, they by mistake produce antibodies against the cells inside which the viruses have taken shelter. These antibodies destroy the viruses together with the cells. This can take place against the Kidneys and cause a disease named Glomerulonephritis. This disease is very commonly found and the only treatment is using steroids named Prednisolone injection, which slowly damages the kidneys and the next step is dialysis and kidney transplantation. These are all expensive treatments and involve a huge amount of money for the people as well as for the nation.

The following is a list of Auto-immune diseases which are caused by the viral attacks, which damages various organs and the conventional treatment is almost the same, that is to use the steroids to suppress or make the immune system inactive so that the body cannot produce the antibodies to destroy the viruses as well as the cells giving shelter to the viruses. These Auto-immune diseases are the majority of the diseases called non-communicable diseases, which make millions of people disabled and destroy their capability to contribute to the economy of the nations of the world. Some of the Auto-immune diseases are:

Autoimmune thrombocytopenic purpura, Autoimmune urticaria, Autoimmune pancreatitis, Autoimmune hepatitis, Autoimmune hemolytic anemia, Autoimmune aplastic anemia, Ankylosing Spondylitis, Alopecia areata, Berger’s disease, Diabetes mellitus type 1, Discoid lupus erythematosus, Celiac disease, Glomerulonephritis, Gastritis, Myasthenia gravis, Rheumatic fever, Rheumatoid arthritis, Vitiligo, Psoriatic arthritis, Psoriasis, Systemic Lupus erythematosus (SLE), etc.

 

If Homeopathic treatment is applied for all these diseases before the viruses can enter deep into the cells and excite the immune system to make wrong decision to destroy the cells containing the viruses, that is before the onset of the process of autoimmunity, (which means the immune system acts against one’s own self), there would have been no occurrence of so many diseases and no loss of so many lives and consequently no loss of national and global exchequer.

To achieve this goal to combat Auto-immune diseases, the homeopathic practitioners should not feel disturbed by the cumbersome names of the diseases. We shall have to remember only few aspects, such as:

(1) The Auto-immune diseases are caused by repeated suppression of symptoms like fever, pain, etc. from our early life by the application of anti-pyretic (anti-fever), anti-allergic, anti-diarrheal, medicines of conventional (allopathic) system of medicine, which prevents the killing of bacteria and viruses.

(2) Suppression of skin diseases like eczema, dandruff, etc. by non-steroidal or steroidal ointments; ear, nose and eye drops, etc. which stop the process of elimination of toxic substances.

(3) Surgical removal of organs like tonsils, appendix, gall bladder, etc. which damages normal functioning of the immune system.

(4) Use of cosmetics for screening sunrays and help anti-aging, which destroys saprophytes (healthy bacteria).

Above all, all the diseases from the early life should be treated homeopathically and it possible, would be parents should be treated, even at the time of pregnancy, by homeopathy to prevent bacteria and viruses from entering into the fetus by crossing the placental barrier.

For those, who are already attacked with Auto-immunity, can be treated and cured by homeopathy by selecting medicines which arouses the reactive vitality of the system to bring the suppressed  symptoms to the surface (as Dr. H. C Allen wrote in his book “ The Materia Medica Of Nosodes”), and to apply homeopathic medicine based on the new symptoms.

In this way, we can achieve the goal of keeping the mischievous micro-organisms from entering and establishing their domain inside our healthy human body, to confuse our intelligent immune system to take wrong decisions to generate antibodies to destroy our vital cells instead of viruses.

Homeopathy Can Change The Global Economy (p-1).

There is an old adage, “A stitch in time saves nine.”   When a child suffers from allergic symptoms, if we apply anti allergic drugs, the symptoms subside but the intensity of diseases increase day by day and we ultimately take the help of steroids, which damages the capacity of the immune system to fight bacteria and viruses and their toxic products. This helps the children to be attacked with more virulent viruses and become store house of toxic deposits. This leads our children towards more severe diseases and end up in cancerous diseases.

Instead of using anti allergic drugs, if we use homeopathic medicines which help the liver to digest the toxins and throw them off through the excretory system, the toxins cannot reach the skin to produce allergic symptoms and child will grow up with a healthy immune system to fight with all types of bacteria and viruses which lead us towards cancer by changing the DNA of healthy human cells.
If we, the homeopathic practitioners can convince the people about this simple beneficial aspect of homeopathy, the modern hospitals would not be crowded with sick people all over the world.
The suppression of the toxins by the help of anti allergic drugs compels our physiological system to be saturated with toxic substances which cause the kidneys to produce renin  to excite the heart to raise the blood pressure of human body to help increase the flow of blood through the kidneys and to get free from toxic products.

At that time, if we use Rauwolfia Serpentina, Berberis Vulgaris, Thalaspi bursa pastoris, etc. homeopathic drugs, the blood will be free from toxic substances and the kidneys will stop production of renin and the blood pressure will become normal (vide internet for Renin-angiotensin system).

But according to the conventional medicine, medicines are used for vasodilation, ACE inhibition, calcium channel blocking, etc. which does not help to throw off the toxin like homeopathic medication and cause damage to the kidneys.This leads the people to go for the expensive system of treatment called hemodialysis. When innocent people start taking anti-hypertensive drugs for decreasing blood pressure, they do not know the ultimate goal of kidney failure and the painful expensive process of hemodialysis.

This is a sheer process of causing damage to the national economy and productivity of human population (To be continued).